ঢাকা: সর্বনিম্ন মজুরি ২৩ হাজার টাকা দাবিতে আবারও সড়কে নেমেছেন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। এ সময় তারা সড়ক অবরোধ ও ভাঙচুর করেন। বিভিন্ন স্থানে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। বেশ কয়েকজন আহতও হয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার পর থেকে রাজধানীর মিরপুর ১২ নম্বর পূরবী সিনেমা হলের সামনে রাস্তা অবরোধ করে রাখেন ইপিলিয়ন গার্মেন্টসের শ্রমিকরা। এক পর্যায়ে তাদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।
আন্দোলনরত শ্রমিকরা বলেন, বেতন না বাড়ালে আমরা কি খেয়ে বাঁচবো? দ্রব্যমূল্যের যে অবস্থা তাতে আমাদের বেতন বৃদ্ধি ছাড়া আর কোন উপায় নেই।
পল্লবী থানার এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
এদিকে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক বাজার এলাকায় অবস্থিত পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা করা হয়েছে। উত্তেজিত শ্রমিকেরা ফাঁড়ির ফটক, কার্যালয়ের কাচ ও সাইনবোর্ড ভাঙচুর করেছেন। এতে মৌচাক, সফিপুর, কোনাবাড়ি পল্লী বিদ্যুৎ এলাকা ‘রণক্ষেত্র’ পরিণত হয়।
আজ মঙ্গলবার সকালে এসব ঘটনা ঘটে।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কয়েক হাজার শ্রমিক মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে চেষ্টা চালায় পুলিশ।’
সাভারের আশুলিয়ায় বেতন বৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা টঙ্গী-বাইপাইল সড়কে নেমে আসলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় পুলিশ শ্রমিকদের সরিয়ে নিতে টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করেন। সকালে আশুলিয়ার জামগড়া, ছয়তলা ও নরসিংহপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, সকালে আশুলিয়ার কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে টঙ্গী-বাইপাইল মহাসড়কে অবস্থান নেন। এসময় পুলিশ তাদের সড়ক থেকে তুলে দিতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। পরে শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এমএস
আপনার মতামত লিখুন :