ঢাকা : ভোটের তিন-চার দিন আগেই দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের ব্যালট পেপার জেলা পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে তিনি বলেছেন, প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের পর ব্যালট পেপার ছাপানোর কাজ শুরু করবেন তারা।
ব্যালট পেপার জেলা পর্যায়ে চলে যাবে নির্বাচনের তিন-চারদিন আগে। ভোটকেন্দ্রে কখন পাঠানো হবে এ বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। ওই সময় কমিশন যে পরিপত্র জারি করবে তখন বিষয়টি উল্লেখ থাকবে।
তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত, তা বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ হবে। নির্বাচনী প্রচার শেষ করতে হবে ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে। অর্থাৎ, ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোটের প্রচার চালানোর সুযোগ থাকবে। ভোট হবে ৭ জানুয়ারি।
নির্বাচনে প্রার্থীদের বিষয়ে একটি পরিপত্রও জারি করেছে ইসি। সেখানে প্রার্থীদের যোগ্যতা, অযোগ্যতা ও নির্বাচনের শর্তাবলী তুলে ধরা হয়েছে।
তফসিল ঘোষণা হওয়ায় এখন জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বদলির ক্ষেত্রে ইসির অনুমোদন নিতে হবে বলে জানান ইসি সচিব।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আরপিওতে সুষ্পষ্টভাবে বলে দেওয়া আছে, নির্বাচনকালীন কোন কোন বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের পূর্ব অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে। সেখানে বলে দেওয়া আছে জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারসহ কয়েকজন এবং তাদের অধস্তনদে বদলির ক্ষেত্রে কমিশনের পূর্ব অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।
সুতরাং কমিশনের আওতায় চলে আসবে; ‘অধীন আসবে’ এই কথাটি কিন্তু আইনে এভাবে বলা নেই। বলা আছে কমিশনের পূর্ব অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।
জাহাংগীর আলম বলেন, তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। সে সময়ের আগে যদি বদলি বা পদোন্নতি করা হয়ে থাকে সেটা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। আইনে যে পদমর্যাদার কথা বলা আছে, সেই পদমর্যাদার বদলির প্রস্তাব যদি কমিশনে আসে কমিশন অনাপত্তি জ্ঞাপন করতে পারে, আপত্তিও জ্ঞাপন করতে পারে।
তবে এখন পর্যন্ত এমন কোনো প্রস্তাব কমিশনে যায়নি বলে জানান এই কর্মকর্তা।
নির্বাচনের প্রার্থী হতে স্থানীয় সরকারের মেয়র বা চেয়ারম্যানকে আগে পদত্যাগ করতে হবে। সচিব জানান, পদত্যাগ কার কাছে করবেন, সেটা আইনে বলা আছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এটা সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দেবেন।
প্রথমত হচ্ছে- নির্বাচন আচরণ বিধামালা সুস্পষ্ট বলা হয়েছে, নির্বাচনপূর্ব সময় বলতে তফসিল ঘোষণার দিন থেকে বলা আছে। ওখানে আইনে বলা আছে, নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার সময় পর্যন্ত এই আচরণবিধি অনুযায়ী রাজনৈতিক দল এবং নির্বাচনী পদপ্রার্থীদের আচরণ বিধিমালা-২০০৮, সেটা তাদের অনুসরণ করতে হবে।
মন্ত্রী-এমপিদের প্রচার নিয়ে আচরণবিধিতে সব বলা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “প্রটেকশন হল নিরাপত্তা, আর প্রটোকল হল যিনি যে পদে যাবেন, সে পদ অনুযায়ী তিনি যতটুকু সম্মান পাবেন সেটা। আগাম প্রচারণা বিষয়ে আমরা আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানিয়েছি, তারা তাদের মতো করে উদ্যোগ নেবেন।”
এমটিআই