• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

প্রকাশ্যে সিল মারা নির্বাচন প্রতিহত করতে পারিনি, এটা লজ্জার: সিইসি


নিজস্ব প্রতিবেদক  নভেম্বর ২৭, ২০২৩, ০২:১৩ পিএম
প্রকাশ্যে সিল মারা নির্বাচন প্রতিহত করতে পারিনি, এটা লজ্জার: সিইসি

ঢাকা: সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও লক্ষীপুর দুটি আসনের উপনির্বাচনের চিত্র তুলে ধরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও লক্ষীপুর এ দুটি আসনের উপনির্বাচনে দেখা গেছে যে, প্রকাশ্যে সিল মারা হচ্ছে। আমরা সেটা প্রতিহত করতে পারিনি। আমাদের প্রশাসন পারেনি, আমাদের নির্বাচন কর্মকর্তারা পারেনি। এটা লজ্জাসকর। আমরা এরকম নির্বাচন আর চাই না।’

তিনি বলেন, ‘এই সিলমারাটা কিন্তু আমাদের নির্বাচনের সংস্কৃতির একটা অংশ। এটা মন্দ সংস্কৃতি। পেশী শক্তি ব্যবহার করা, কালো টাকা ব্যবহার করা এবং সিলমেরে কারচুপি করা দীর্ঘদিন ধরে চর্চার মাধ্যমে একটা অপসংস্কৃতির চর্চা হয়ে গেছে। ক্রমান্বয়ে আমাদেরকে ওর থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’

আজ সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ইলেকটোরাল ইনকোয়ারি কমিটির প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সিইসি বলেন, ‘গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে নির্বাচনকে টিকিয়ে রাখতে হবে। সাধারণ জনগণ যদি বলে এবারের নির্বাচন ফ্রি-ফেয়ার এবং ক্রেডিবল হয়েছে, তবেই এই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমি আগে বিচার বিভাগে কাজ করেছি। বিচার বিভাগের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো স্বাধীনতা। দেশের মানুষ বিচার বিভাগকেই স্বাধীন বলে বিবেচনা করে। দেশের মানুষের আস্থাটা বিচার বিভাগের ওপর সবচেয়ে বেশি। তাই আপনারা যেখানে কাজ করবেন সেখানে স্বাধীন ও স্বচ্ছতার ভেতরে কাজ করবেন।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ফ্রি-ফেয়ার এবং ক্রেডিবল নির্বাচন চাচ্ছি। বিদেশিরাও চাচ্ছে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেন ফ্রি-ফেয়ার ও ক্রেডিবল হয়। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে একটি ফ্রি ফেয়ার নির্বাচনের জন্য আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে কখনোই নির্বাচন করা সম্ভব নয়। এর জন্য প্রশাসন এবং আপনাদের আন্তরিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।’

অনুষ্ঠানে ইসি অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথসহ নির্বাচন কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এমএস

Wordbridge School
Link copied!