ঢাকা: বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা দলগুলোর ঘোষিত অবরোধ চলাকালে রেল, সড়ক ও নৌ-পথে যোগাযোগ নির্বিঘ্ন রাখতে এবং জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশ বাহিনীকে সহায়তার জন্য রাজধানীসহ সারাদেশে ১০ হাজার আনসার ও ভিডিপি সদস্য মোতায়েন থাকবে।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের (রাজনৈতিক শাখা-২) সিনিয়র সহকারী সচিব মো. জহিরুল হক সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপ-পরিচালক (প্রকল্প প্রশিক্ষণ) ও গণসংযোগ কর্মকর্তা (অতি. দায়িত্ব) মো. জাহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রেলস্টেশন, বাসস্টেশন, লঞ্চঘাট, সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এবং জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশ বাহিনীকে সহায়তার জন্য সারাদেশে অনধিক ১০ হাজার সাধারণ আনসার ও ভিডিপির সদস্য মোতায়েনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেটগণ বিষয়টি সার্বিক সমন্বয় করবেন।
এর আগে, রোববার বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ৩৬ ঘণ্টার অবরোধের ঘোষণা দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর। সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচনের দাবিতে বিএনপিসহ বিরোধী বিভিন্ন দল ও জোটের ডাকা এটি একাদশতম দফায় অবরোধ। গত ২৯ অক্টোবর থেকে হরতাল-অবরোধ পালন করে আসছে বিএনপিসহ সমমনা বিরোধী দলগুলো।
২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ করতে না পারার প্রতিবাদে ২৯ অক্টোবর সকাল-সন্ধ্যা হরতাল, ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত অবরোধ, তৃতীয় দফায় ৮ ও ৯ নভেম্বর, চতুর্থ দফায় ১২ ও ১৩ নভেম্বর এবং পঞ্চম দফায় ১৫ ও ১৬ নভেম্বর অবরোধ ঘোষণা করা হয়। এরপর ফের ১৯ ও ২০ নভেম্বর এবং ২২ ও ২৩ নভেম্বর ৪৮ ঘণ্টার হরতালের ডাক দেয় বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। এরপর ২৬ নভেম্বর অবরোধ এবং ২৭ নভেম্বর হরতাল কর্মসূচি দেয়া হয়। অষ্টম দফায় ২৯ ও ৩০ নভেম্বর ফের ৪৮ ঘণ্টার এবং ৩ ও ৪ ডিসেম্বর নবম দফায় অবরোধের ডাক দেয়া হয়। ৬ ও ৭ ডিসেম্বর দশম দফায় অবরোধ কর্মসূচি পালন করে বিএনপিও সমমনা দলগুলো।
ওয়াইএ