ঢাকা : বাংলাদেশ রেলওয়ে যুগ্ম মহাপরিচালক (অপারেশন) এ এম সালাহ উদ্দীন বলেছেন, সারাদেশে প্রায় ৩০০ ঝুঁকিপূর্ণ স্থানকে চিহ্নিত করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে রেলওয়ে।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) কমলাপুরে সাংবাদিকদের তিনি এই কথা বলেন।
এ এম সালাহ উদ্দীন বলেন, বাইরে থেকে চলন্ত ট্রেনে আগুন দেয়া সম্ভব নয়। তাই আমরা প্রাথমিকভাবে মনে করছি কেউ উদ্দেশ্যমূলকভাবেই ভেতরে আগুন লাগিয়েছে। এ ঘটনায় বিভাগ ও জোন পর্যায়ে পৃথক দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে। এয়ারপোর্টে থেকে তেজগাঁওয়ে ট্রেনটি চলমান ছিলো। এমন অবস্থায় না থামানোয় কারো গাফেলতি থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, ২০১৯ সালে বগিগুলো বাংলাদেশ রেলওয়েতে যুক্ত হয়েছে। ইন্দোনেশিয়া থেকে আনা হয়েছিলো বগিগুলো। আমাদের প্রাথমিক হিসেবে আগুনে ৩ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দেশে ৩ হাজারেরও বেশি ট্রেনের রাস্তা। নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেই তুলনায় জনবল কম। যাত্রী নিরাপত্তায় দিনরাত ট্রেক পেট্টোলিংয়ের ব্যবস্থা আমরা করেছি। ২৪ ঘণ্টাই আমাদের কর্মকর্তা কর্মচারীরা দায়িত্ব পালন করছে। ট্রেনে ৬/৭/৮ শ যাত্রীদের মধ্যে কেউ যদি উদ্দেশ্যমূকলভাবে নাশকতা করে তা প্রতিহত ও চিহ্নিত করা কঠিন। কামরা ভেতর সিসি ক্যামেরা বসানোর বিষয়ে আলোচনা চলছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ভোর ৫টায় মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে দুর্বৃত্তরা অগ্নিসংযোগ করে। এতে মা ও শিশুসন্তানসহ চার যাত্রী নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুইজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- নাদিয়া আক্তার পপি (৩৫) ও তার শিশুসন্তান ইয়াসিন (৩)। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট সকাল পৌনে ৭টার দিকে আগুন নির্বাপণ করে।
এমটিআই