ঢাকা : সেদিনও ছিল ভোর, শীতের মধ্যে গুটিসুটি হয়ে দীর্ঘ যাত্রায় তন্দ্রায় ছিলেন যাত্রীদের বড় অংশই। এরমধ্যেই ঘটে যায় বিপদ; বিকট আওয়াজে ছিটকে পড়ে বগি, প্রাণ যায় একজনের। ছয় দিন না যেতেই আবারও ভোর বেলা সেই একই রুটের একই ট্রেন ঢাকায় ঢোকার মুখে আরেকবার বিপদের শিকার। এবার সন্তানকে বুকে জড়িয়েই অঙ্গার হলেন মা, তাদের মতো দগ্ধ হয়ে মৃত্যু আরও দুইজনের।
দুইবারই ঢাকামুখী ট্রেনটি ছিল মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস, যাতে মোট পাঁচজনের প্রাণহানির এ দুই ঘটনার পেছনে নাশকতার কথা বলেছে পুলিশ।
প্রথমবার ১৩ ডিসেম্বর ভোর ৪টার দিকে গাজীপুরের গহীন এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করে রেললাইনের পাত কেটে রাখা হয়, যাতে ছিটকে পড়ে সাতটি বগি। এবার নগরীর মধ্যেই স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়ার সময়ে ভোর পৌনে ৫টার দিকে আগুনে পুড়েছে তিনটি বগি।
বিএনপির ভোট বর্জনের টানা আন্দোলনের মাঝে থেমে থেমে ট্রেনে কয়েকটি ‘নাশকতার’ মধ্যে স্বল্প সময়ে দুইবার আক্রান্তের শিকার হলো মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস। মঙ্গলবারের নাশকতার আগুনে চার মৃত্যুর পর ঢাকা-নেত্রকোণা রুটের এ ট্রেনই কেন বার বার আক্রমণের শিকার তা নিয়ে প্রশ্ন জেগেছে নেত্রকোনার মানুষের পাশাপাশি অন্যদেরও।
খোদ রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনও বার বার মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেন। তার প্রশ্ন ঘুরেফিরে এ ট্রেনই কেন সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার।
ভোর বেলায় এক সপ্তাহের মধ্যেই দুইবার নিরাপদ বাহন হিসেবে পরিচিত যাত্রীবাহী ট্রেন পর পর কেন নাশকতার লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে তা নিয়ে কৌতুহল দেখা দিয়েছে।
নির্বাচনকে ঘিরে চলমান রাজনৈতিক বিরোধের মধ্যে দেশজুড়ে রেলের নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ছাড়াও গত দুই মাসে রেলপথে অন্তত ১৯টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। রেলে আটটি হাতবোমা হামলার খবরও এসেছে। পর পর দুই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যেও আতঙ্ক বিরাজ করছে। সাধারণ যাত্রীদের জীবন ও চলাচলকে বিপন্ন করে এমন সহিংসতার প্রতি ক্ষোভ জানিয়েছেন তারা। নিরাপত্তা বাড়িয়ে এসব সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধের জোর দাবি তাদের।
এমন প্রেক্ষাপটে রেলের নিরাপত্তা ও নজরদারি বাড়াতে নিয়মিত টহলের পাশাপাশি আরও দুই হাজার ৭০০ আনসার সদস্য নিয়োগ করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দ্বারস্থ হয়েছে রেলওয়ে মন্ত্রণালয়।
গাজীপুরে ট্রেনের পাত কাটার পর পেট্রোলিং কার্যক্রম বাড়ানোর পাশাপাশি ট্রেনের গতি ধীর করা হয়েছে।
আগুন, লাইন কাটা, ফিশপ্লেট ও হুক তুলে ফেলাসহ নাশকতামূলক এসব কর্মকাণ্ডের জন্য সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধীদের দায়ী করছে। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে- সরকার আন্দোলনের ওপর দায় চাপাতে পরিকল্পিতভাবে এসব অমানবিক ঘটনা ঘটাচ্ছে।
টার্গেটে কি মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস?
মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টার পর ঢাকা-নেত্রকোণা পথে চলাচলকারী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ঢাকার বিমানবন্দর স্টেশন ছেড়ে আসে। কয়েক মিনিট পর ট্রেন খিলক্ষেতে পৌঁছালে তাতে আগুন দেখতে পান যাত্রীরা। বিমানবন্দর থেকে ১৫ মিনিট দূরের পথ তেজগাঁও স্টেশনে ট্রেন থামার আগে আরও দুটি স্টেশন পেরিয়ে আসে ট্রেনটি। এরমধ্যেই আগুন যায় আরও বেড়ে।
প্রায় ৫টার দিকে তেজগাঁও স্টেশনের সহকারী মাস্টার পর্বত আলীর সংকেতে ট্রেন থামে স্টেশনটি থেকে একটু দূরে। সেখানে আগুন নেভানোর আগেই এর তিনটি বগি পুড়ে যায়। এক মা ও তার শিশুসন্তানসহ পুড়ে মৃত্যু হয় চারজনের।
ঠিক ছয় দিন আগে এমনই এক ভোরে ঢাকা আসার পথে গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর এলাকায় রেললাইনের স্লিপার কেটে ফেলায় দুর্ঘটনায় পড়েছিল এই মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস। ওই ঘটনায় একজনের মৃত্যু হওয়ার পাশাপাশি বহু যাত্রী আহত হয়েছিলেন।
এর আগে গত ২৩ নভেম্বর রাতে বিএনপির অবরোধের মধ্যে নেত্রকোণা-ময়মনসিংহ রেলপথের নেত্রকোণা সদর উপজেলার রাজেন্দ্রপুরের মগড়া নদীর ওপর কমলগঞ্জ রেলসেতুর স্লিপারে আগুন দেওয়া হয়।
সেদিন স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে সেই আগুন নিভিয়ে ফেলায় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। ঢাকা-মোহনগঞ্জ পথে চলাচলকারী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস এ সেতু দিয়েই চলাচল করে।
কাজের সুবিধার জন্য মোহনগঞ্জ ও নেত্রকোণা থেকে প্রচুর যাত্রী এ ট্রেনে যাতায়াত করেন। রাতে উঠে তারা সকালে ঢাকায় পৌঁছে সারাদিন কাজ করে আবার রাতেই ফিরে যেতে পারেন।
পাল্টাপাল্টি দোষারোপ : রেলপথের এসব নাশকতার জন্য বরাবরের মতোই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে থাকা বিএনপি পরস্পরকে দায়ী করে বক্তব্য দিয়ে আসছে।
আক্রমণের লক্ষ্য হিসেবে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসকে বেছে নেওয়ার ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে মঙ্গলবার রেলভবনে সংবাদ সম্মেলনে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এসব ঘটনার জন্য বিএনপিকে দোষারোপ করেন।
তিনি বলেন, গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে দেশে অন্তত ১৯টি ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা এবং আটটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসই কেন বার বার সন্ত্রাসের শিকার হলো?
২০১৩-২০১৪ সালে বিএনপির বাস, ট্রাক ও ট্রেনে অগ্নিসংযোগ করা হলেও এবার সড়কপথের যানবাহনের তুলনায় নিরাপদ বাহন হিসেবে পরিচিত রেলপথ বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে নিজেদের কর্মসূচি সফল করতে বিএনপি এই ধরনের নাশকতার পথ বেছে নিয়েছে।
তবে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডসহ রেলের নাশকতাগুলোকে অমানবিক অ্যাখা দিয়ে এর পেছনে সরকারের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
অবরোধ-হরতালকারীদের ওপর দায় চাপাতে এটা পূর্ব পরিকল্পিত ঘটনা অভিযোগ করে এদিন ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আজ সকালে জামালপুর থেকে আসা মোহনগঞ্জ ট্রেনে আগুনে চারজন মানুষ পুড়ে মরে গেল। একই ট্রেন কয়েকদিন আগে স্লিপার খুলে নেওয়ার কারণে দুর্ঘটনার শিকার হল। তাহলে এই ট্রেনের নিরাপত্তা কোথায়? কেন চারজন মানুষ পুড়ে মরলো? এটার সঙ্গে রাষ্ট্র ক্ষমতার নিশ্চিত সম্পর্ক আছে।
রিজভীর বক্তব্য প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী সুজন বলেন, যদিও বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিজভী সাহেব রেলে নাশকতার নিন্দা জানিয়েছেন। কিন্তু যখনই এই ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি দিচ্ছে তখনই ঘটনা ঘটছে।
তাহলে কী আমরা ধারণা করতে পারি যে, এই ধরনের নাশকতা করে তারা কর্মসূচি সফল করবে? যারা রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণা করছে তারাই এর সঙ্গে জড়িত।
কী বলছে রেল পুলিশ : তবে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের অগ্নিকাণ্ডকে বিশেষ দৃষ্টিতে দেখতে নারাজ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। একটি নিরাপদ সুযোগ খুঁজতে গিয়ে রাতে চলাচালকারী ট্রেনের ওপর নাশকতাকারীদের নজর পড়েছে বলে সন্দেহ তাদের।
রেলওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজি মো. দিদার আহম্মদ বলেন, নাশকতাকারীরা নিরাপদ হিসাবে মূলত রাতকে বেছে নেয়। রাতের যে কোনো ট্রেনেই এ ধরনের নাশকতা ঘটতে পারে। রাতের ট্রেনই তাদের টার্গেট। আমরা সম্মিলিতভাবে এসব নাশকতা রোধে কাজ করছি। এজন্য প্রয়োজন জনসচেনতা।
তিনি জানান, একটি ঘটনা ঘটেছে, এখানে সরকারের সব সংস্থা তদন্তে মাঠে নেমেছে। যে যার মত করে অপরাধী শনাক্ত এবং গ্রেপ্তারের বিষয়ে কাজ করছে। তবে সবাই মূলত রেল পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছেন।
এরমধ্যে ট্রেনের প্রতিটি বগিতে সিসি ক্যামেরা লাগানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানান দিদার আহম্মদ।
তিনি বলেন, এ ছাড়া ট্রেন ছাড়ার আগে ট্রলি ট্রেনের মাধ্যমে অ্যাডভান্স টিম গিয়ে দেখে আসার বিষয়টিও প্রস্তাবে রাখা হয়েছে।
ক্ষুব্ধ ও আতঙ্কিত যাত্রীরা : রেলে গত দুই মাসের অন্তর্ঘাতমূলক ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ঢাকা থেকে গাজীপুর হয়ে নেত্রকোণা, ময়মনসিংহ ও জামালাপুরের পথে চলাচলকারী ট্রেনগুলোতে বার বার নাশকতা হয়েছে। এসব ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ট্রেনগুলোর নিয়মিত যাত্রীরা।
এমন ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার বেলা ১১টায় নেত্রকোণা পৌরসভার সামনে মানববন্ধনের ডাক দিয়েছে জেলার বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো।
সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন নেত্রকোণা জেলার সভাপতি শ্যামলেন্দু পাল চৌধুরী বলেন, জেলার মানুষের নিরাপদ ভ্রমণের বাহন হিসেবে এই রেল ছিল ভরসা। কিন্তু ইদানিং পর পর ঘটনাপ্রবাহে মানুষের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। অনিরাপদ হয়ে গেছে এই পথে রেলযাত্রা।
একের পর এক নাশকতা হচ্ছে, মানুষ মরছে। নাশকতাকারীদের হাতে রেলপথকে কোনো অবস্থাতেই ছেড়ে দেওয়া যাবে না। দল বুঝি না। মানুষ মেরে রাজনীতি হতে পারে না।
নেত্রকোণা সাহিত্য সমাজের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল্লাহ এমরান বলেন, ঢাকা-নেত্রকোণা রেলপথ দীর্ঘদিন অবহেলিত ছিল। সাম্প্রতিককালে দুটি আন্তঃনগর ট্রেন এই পথে যুক্ত হয়েছে। এতে শুধু যাতায়াতে সুবিধা হয়েছে তা নয়; এর মধ্য দিয়ে এই বিস্তৃত হাওরাঞ্চলের জীবন-জীবীকা ও অর্থনীতির উন্নয়নেও কাজে আসছে।
জেলার ২৫ লাখ মানুষের নিরাপদ ও সহজ চলাচলের পরিবহন এই রেলপথ। যারা এটা করছেন তারা কি চান না- এই জনপদের উন্নয়ন হোক? মানুষ মেরে এই রেলপথকে জিম্মি যারা করে তারা মানুষ হতে পারে না।
রেলপথকে এই অমানুষদের হাতে ছাড়া যাবে না উল্লেখ করে সাইফুল্লাহ এমরান বলেন, আমরা এই ধরনের নাশকতার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। সাধারণ মানুষকেও এগিয়ে আসতে হবে এই রেলপথকে নিরাপদ রাখতে। যার যার এলাকায় পাহারায় রাখতে হবে। প্রশাসনকে সমন্বয় করে নিরাপত্তার উদ্যোগ নিতে হবে। বার বার কেন এই রেলপথকেই টার্গেট করা হচ্ছে? এটিও ভেবে দেখতে হবে।
নেত্রকোণা শহরের নাগড়া এলাকার বাসিন্দা মীর মনিরুজ্জামান বলেন, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঢাকায় স্বজনদের বাসায় এই রেলপথেই বিশেষ করে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে চলাচল করি। এতদিন এই ট্রেনে নিরাপদে ও আরামে চলাচল করা গেছে। কিন্তু এখন মনে শঙ্ক জেগেছে। বার বার শুধুই কেন এই রেলপথটিকেই টার্গেট করা হচ্ছে?
মোহনগঞ্জের ব্যবসায়ী বিপ্লব সাহা রায় বলেন, ব্যবসার কাজে মোহনগঞ্জের ব্যবসায়ীদের নিত্য যাতায়াত এই রেলপথে। এই রেলপথে আন্তঃনগর ট্রেন চালু হওয়ার পর থেকে আমরা ব্যবসায়ীরা নিরাপদে চলাচল করে আসছিলাম। কিন্তু কিছুদিন ধরে এই রেলপথকে নাশকতাকারীরা লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে। আমরা তো এখন ভয়ের মধ্যে পড়েছি।
জেলার হাওরাঞ্চলের উপজেলা খালিয়াজুরী সদরের বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, আমরা এই রেলপথ চালু হওয়ার পর থেকে স্বাচ্ছন্দ্যে ঢাকায় যাতায়াত করে আসছিলাম। লাখ লাখ গার্মেন্ট কর্মী এই ট্রেনে যাতায়াত করে। ট্রেনে তো কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের লোকজন শুধু চলাচল করে না। এই ট্রেনে জেলার সবাই চলাচল করেন। তাহলে কেন এমন করা হচ্ছে? এ রকম অমানবিক আচরণ চলতে দেওয়া যায় না।
রেলে যত নাশকতা : গত ২৮ অক্টোবর সরকার পতনের একদফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর পণ্ড হলে সপ্তাহে তিন দিনের বিরতি দিয়ে টানা হরতাল অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি দিয়ে আসছে দলটি। এসব কর্মসূচির মধ্যে নানা স্থানে বাসে ও ট্রাকে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটছে।
এর মধ্যে ১৬ নভেম্বর টাঙ্গাইল স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেয় অজ্ঞাতনামারা। এতে ওই ট্রেনের দুটি বগি পুড়ে যায়।
এর তিনদিন পর ১৯ নভেম্বর জামালপুরের সরিষাবাড়িতে দুষ্কৃতকারীদের আগুনে একটি ট্রেনের দুটি বগি সম্পূর্ণ এবং একটি বগি আংশিক পুড়ে যায়।
দুইদিন না যেতেই ২২ নভেম্বর সিলেটেও ঘটে একই ধরনের ঘটনা। দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রেনের বগিতে আগুন দেওয়া হলে তা অল্প সময়ের মধ্যেই নিভিয়ে ফেলা সম্ভব হয়।
সবশেষ বড় দুটি ঘটনা ঘটে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসকে কেন্দ্রে করে। আগের ঘটনাগুলোতে কোনো প্রাণহানি না ঘটলেও মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের দুটি ঘটনায় মোট পাঁচ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
এমটিআই