• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

নির্বাচনে আমেরিকার চাওয়া কী, জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী


নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ২২, ২০২৩, ০৬:৫২ পিএম
নির্বাচনে আমেরিকার চাওয়া কী, জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকা: নির্বাচন বানচালে দেশে বিরোধী দলগুলো যে ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালাচ্ছে তার প্রকৃত তথ্য বিবৃতির মাধ্যমে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এখন আর কোনো ভুল তথ্য দিয়ে কারো সহানুভূতি আদায় করা যাবে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।

তিনি বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে সব বিষয়ে অবহিত করেছি, তারাও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ পছন্দ করে না, আমরাও পছন্দ করি না। তারা সংঘাতমুক্ত নির্বাচন চায়, আমরাও অবাধ সুষ্ঠু সংঘাতমুক্ত নির্বাচন চাই।

শুক্রবার দুপুরে সিলেটের বদিকোনা মারকাজে ইজতেমা মাঠে জুমার নামাজ আদায় শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। 

নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করার আগে সিলেট-১ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আব্দুল মোমেন দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে সিলেটের দক্ষিণ সুরামা এলাকার বদিকোনা মারকাজে ইজতেমা মাঠে জুমার নামাজ আদায় করেন। জুমার নামাজ আদায় শেষে মুসল্লিদের কাছে বাংলাদেশের মানুষের জন্য দোয়া চান। সবশেষ তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

নির্বাচনের পরিবেশ এবং তার জয়ী হওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, শুরুতেই মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি শুকরিয়া আদায় করছি। খুব সুন্দর পরিবেশে নির্বাচনি প্রচারণা চলছে। উৎসাহ ভরে জনগণ আমাদের সমর্থন দিচ্ছেন। আমাদের প্রত্যাশা এ নির্বাচনে দলে দলে পরিবার-পরিজন নিয়ে লোকজন উৎসবমুখরভাবে ভোট কেন্দ্রে আসবেন; যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দেবেন।

তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করব যাতে ভোটাররা কোনো ধরনের বাধার সম্মুখীন না হন। সেজন্য সরকার, নির্বাচন কমিশন সব ধরনের ব্যবস্থা নেবেন। ইনশাআল্লাহ কোনো ধরনের সংঘাত হানাহানি হবে না, ভোটাররা নিশ্চিন্তে ভোট দিতে পারবেন।

এ সময় তিনি সিলেট-১ আসনে অন্যদলের যেসব প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন তাদের সম্পর্কে বলেন, তারা আমার ভাই, আমি প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে কাউকে ছোট করে দেখি না। কারণ সবাই জনগণের ভোট প্রত্যাশা করছেন। জনগণ যাকে ভোট দেবেন তিনিই জয়ী হবেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতির বিষয়ে মোমেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, আমাদের অপজিশন যারা আছে তারা আগুনসন্ত্রাস করছে, জ্বালাও-পোড়াও করছে, পুলিশকে মেরে ফেলছে, সাংবাদিকদের ওপর হামলা করছে, বিচারকদের বাড়িতে হামলা করছে, হাসপাতালে হামলা করেছে, রেল উপড়ে ফেলে মানুষ মারছে, ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষ মারছে। 

এসব কর্মকাণ্ড গণতন্ত্র না এসব হচ্ছে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। তারা বলছে গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করছে, তাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে সরকার। আমরা বিবৃতির মাধ্যমে বিশ্ববাসীকে জানাচ্ছি, আমরা কোনো নেতাকর্মীকে রাজনৈতিক কারণে গ্রেফতার করছি না। তারা গ্রেফতার হচ্ছে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে। যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে তাদের নানা উপায়ে চিহ্নিত করেই তবে গ্রেফতার করা হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে গ্রেফতারের যে সংখ্যা বলা হচ্ছে তা একেবারে বানোয়াট এবং ডাহা মিথ্যা। মিথ্যা দিয়ে রাজনীতি হয় না, এখন মিথ্যা দিয়ে কারো সহানুভূতি পাওয়ার রাজনীতির দিন শেষ।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকেও জানানো হয়েছে কাউকে রাজনৈতিক কারণে গ্রেফতার করা হচ্ছে না, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্যই গ্রেফতার হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রও সন্ত্রাস পছন্দ করে না, বাংলাদেশও সন্ত্রাস পছন্দ করে না। আমেরিকা চায় স্বচ্ছ সুন্দর নন-ভায়োলেন্ট ইলেকশন, আমরাও তাই চাই। আমরা এবার একটি সংঘাতমুক্ত সুন্দর নির্বাচন করে বিশ্বকে দেখিয়ে দিতে চাই।

এআর 

Wordbridge School
Link copied!