• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

এখন সবাই কোটিপতি: তথ্যমন্ত্রী


নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ২৭, ২০২৩, ০৬:৫৮ পিএম
এখন সবাই কোটিপতি: তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

ঢাকা: ঢাকা শহরে এক কোটি টাকার নিচে কোথাও জমি নেই, চট্টগ্রামেও নেই জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘কারও তিন কাঠা জমি থাকলেই তো সে কোটিপতি। এখন সবাই কোটিপতি।’

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।

গতকাল টিআইবি একটি বক্তব্যে বলেছে যে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের ১৮ জনের ১০০ কোটি টাকার বেশি আছে। এছাড়া ৭৭ শতাংশ প্রার্থী কোটিপতি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গবেষণা করে তারা পদ্মা সেতুর দুর্নীতি নিয়ে বলেছিল। তাদের অনেক বড় গলা ছিল। তারা প্রচুর সংবাদ সম্মেলন করেছে। পরে দেখা গেলো, পদ্মা সেতুতে তো দুর্নীতি হয়ইনি, দুর্নীতির কোনো সুযোগও সৃষ্টি হয়নি। নানান সময়ের নানান গবেষণায় দেখা যায়, আসলে এগুলো গবেষণা নয়, কতগুলো প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে সেই প্রতিবেদন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রকাশ করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘আর ৭৭ শতাংশ কোটিপতির কথা বলা হয়েছে, দেশে এক কাঠা জমির দাম গ্রামেও ২০ লাখ টাকা। পাঁচ কাঠা জমির দাম এক কোটি টাকা। ঢাকা শহরে এক কোটি টাকার নিচে কোথাও জমি নেই, চট্টগ্রামেও নেই। কারও তিন কাঠা জমি থাকলেই তো সে কোটিপতি। এখন সবাই কোটিপতি। কাজেই এই হিসাব দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার কোনো সুযোগ নেই। কাজেই এই হিসাব উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’

সরকার ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকেও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করেন অনেকেই। নতুন করে তারা সরকার গঠন করলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে কি না- জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গত ১৫ বছরে সরকার পরিচালনার সময় দ্রব্যমূল্য সবসময় মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে ছিল। কোনো কোনো সময় কোনো কোনো পণ্যের মূল্য বেড়েছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতাও বেড়েছে। আজ থেকে ১৫ বছর আগে একজন দিনমজুর সারাদিন পরিশ্রম করে যে টাকা পেতেন, সেই টাকা দিয়ে চার-পাঁচ কেজি চাল কিনতে পারতেন। এখন একজন দিনমজুর সারাদিন কাজ করে যে চাল কিনতে পারেন, সেটা ১২ থেকে ১৫ কেজি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সেটা আরও বেশি। চট্টগ্রামে এক হাজার টাকার নিচে দিনমজুর পাওয়া যায় না। পৃথিবীতে দ্রব্যমূল্য সবসময় বেড়েছে।’

তিনি বলেন, ‘১৯৪৩ সালে কলকতা, বাংলায় যখন দুর্ভিক্ষ হয়, তখন ছয় টাকায় ৪০ কেজি চাল পাওয়া যেতো। কিন্তু সেই চাল কিনতে না পেরে মানুষ মারা গেছে। তখন তো দ্রব্যমূল্য অনেক কম ছিল। খেয়াল রাখতে হবে, মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে কি না। আমাদের দেশে যত না মূল্য বেড়েছে, তার চেয়ে বেশি মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। এই কথা সত্য, মাঝে মধ্যে ব্যবসায়িক চক্র, মুনাফালোভী সিন্ডিকেট কোনো কোনো পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে সেই পণ্যমূল্য বাড়িয়ে দেয়। এভাবে তারা ফায়দা লোটে। ভারতের একটি পত্রিকায় প্রকাশিত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের খবর যখন ঢাকার অনলাইনেও প্রকাশিত হয়, তখন কারওয়ান বাজারে পেঁয়াজের মূল্য বেড়ে যাওয়ার কোনো কারণ নেই।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘এটা হলো মুনাফালোভীদের কারসাজি। আমরা সেটি নিয়ন্ত্রণের কথা বলেছি। আবার সরকার গঠন করতে পারলে এই মুনাফালোভী চক্র, অসাধু চক্র, যারা দেশে মাঝে মধ্যে পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে মুনাফালাভের চেষ্টা করে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থ নেওয়া হবে। সেটা আমরা করতে পারবো বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করছি।’

ওয়াইএ

Wordbridge School
Link copied!