ঢাকা: দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে দেশজুড়ে প্রায় পৌনে দুই লাখ পুলিশ কাজ করবেন। আনসার সদস্য থাকছেন সাড়ে ৮ হাজার। এ সময়ে পুলিশ সদস্যরা সাধারণ অসুস্থতার জন্য ছুটিও পাবেন না; সেক্ষেত্রে তাদেরকে অফিসে বসে তদারকি বা পর্যবেক্ষণের কাজে থাকতে বলা হয়েছে।
ভোটের সপ্তাহ খানেক আগে শনিবার পুলিশ সদর দপ্তর এবং আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর তরফে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (অপারেশন) আনোয়ার হোসেন জানান, বর্তমানে পুলিশে এক লাখ ৮৯ হাজার সদস্য কর্মরত আছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক সদস্যকে নির্বাচনে কাজে লাগানো হবে।
সরাসরি নির্বাচনের কাজে যুক্ত থাকা সদস্যদের সেই সংখ্যা ১ লাখ ৭৪ হাজার হবে জানিয়ে তিনি বলেন, বাকি ১৫ হাজার সদস্য অন্যান্য কাজ করবেন।
তিনি বলেন, “অত্যন্ত জরুরি প্রয়োজন (বাবা-মা বা নিকটজনের মৃত্যু) ছাড়া কাউকে এই নির্বাচনের সময় ছুটি দেওয়া হচ্ছে না।”
পুলিশ কর্মকর্তা আনোয়ার বলেন, “পুলিশের কোনো সদস্য যদি সাধারণ অসুস্থও হয়, প্রয়োজনে তাকে মাঠে ডিউটি না দিয়ে কোনো কিছু মনিটর করা বা থানায় ডিউটি অফিসারের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।”
এর মধ্যে কোনো আসামি জামিনে বের হয়েছেন কি না এবং নির্বাচনে তার প্রভাব ফেলার সুযোগ আছে কি না, সে বিষয়টি নিয়েও নজর রাখতে বলা হয়েছে। ডিআইজি আনোয়ার বলেন, “আমরা সাদা পোশাকে সব কিছুর উপর বিশেষ নজরদারি করছি।”
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “নির্বাচনকালীন সময়ে কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়ে রাখা হয়েছে।”
ঊর্ধ্বতন এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, যেসব এলাকাকে এরই মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে, সেগুলোতে বাড়তি পুলিশ ছাড়াও সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
“কেউ ফৌজদারি অপরাধে সম্পৃক্ত হলে পুলিশ শুধু তাদেরই গ্রেপ্তার করছে। সম্প্রতি নাশকতার সাথে জড়িত এমন প্রায় দেড় হাজার ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাদের অনেকেই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।”
ডিআইজি আনোয়ার বলেন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান পরিচালনা করছে। আবার নির্বাচনকালীন সময়ে বৈধ অস্ত্র প্রদর্শন এবং বহন নিষিদ্ধ করে পরিপত্র জারি করেছে সরকার।
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সাড়ে ৮ হাজার আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্যকে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন করা হয়েছে।
গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে মোতায়েন হওয়া এসব আনসার সদস্য ভোটের মাঠে থাকবেন ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। এবার সব মিলিয়ে সাড়ে সাত লাখ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নির্বাচনকালীন দায়িত্বে থাকবেন। অন্য সময়ের মতো সেনা সদস্যরাও ভোটের দায়িত্ব পালন করবেন।
এআর
আপনার মতামত লিখুন :