ঢাকা : রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন পরিকল্পিতভাবে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার খ. মহিদ উদ্দিন।
তিনি বলেন, আগুনের কারণ এখনই বলা যাবে না কারা করেছে। তবে এটি যে নাশকতা সেটি স্পষ্ট। বোঝাই যাচ্ছে পরিকল্পিতভাবে এটি করা হয়েছে।
শুক্রবার (৪ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে গোপীবাগ এলাকায় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
মহিদ উদ্দিন বলেন, যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। সাধারণ মানুষ, যাত্রীদের প্রতি, শিশু, নারীদের প্রতি এ ধরনের অমানবিক ও সহিংসতা, মানুষ পুড়িয়ে মারা- এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। কোনো মানুষ এটা গ্রহণ করতে পারে না। এই কাজ যারা করেছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
আগুনের কোনো ধরনের উপাদান পাওয়া গেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রথম কাজ ছিল আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা। যেটা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা করেছেন। জীবন বাঁচানো তাদের প্রথম কাজ। সেটা তারা করেছেন।
আমরা ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি), বিজিবি, র্যাবসহ সকলে এসেছে। আমাদের কর্মকর্তারা এসেছেন। আমাদের যে তদন্তকারী কর্মকর্তারা আছেন তারা এখন থেকে আলামত সংগ্রহ করবেন। আমরা চেষ্টা করব কী কারণে আগুন লেগেছে সেটি জানার।’
হরতালের আগেই নাশকতার এমন চেষ্টার বিষয় তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মাঝে ভয় ছড়ানো হচ্ছে। সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবন বিঘ্নিত করতেই এই নাশকতা করে। একটি জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারা পরিকল্পিত নাশকতা।’
পরপর তিনটি বড় নাশকতা দেখা গেল, অথচ আপনারা বারবার বলছেন গোয়েন্দা তথ্যে নাশকতার সম্ভাবনা নেই- এমন প্রশ্নের জবাবে মহিদ বলেন, ‘কোনো কোনো অপরাধ তাৎক্ষণিক ধরা পড়ে, যার নজির আপনারা দেখেছেন। যার সংখ্যা ৪০ এর বেশি। গাজীপুরের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিমানবন্দরের ঘটনায় জড়িতদের বিষয় কাজ চলছে। প্রকৃত রহস্য উদঘাটন দরকার। এটা কখনও ১৫ ঘণ্টা, কখনও ১৫ দিন বা তার বেশি সময় লাগতে পারে।’
বেনাপোল এক্সপ্রেসে বিদেশি যাত্রীর বিষয়ে কোনো তথ্য আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এটা নাশকতা মনে হয়েছে। যাত্রীবেশে হয়তো এটা করেছে। বিদেশি যাত্রীর বিষয়টা জানা নেই। এটা রেলওয়ে পুলিশ বলতে পারবে। এই বগিতে ক্যামেরা ছিল কিনা জানা নেই। তবে রেলওয়েকে অনুরোধ করা হয়েছিল ক্যামেরা লাগাতে।’
এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :