ঢাকা : দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের স্বচ্ছতা ও দৃশ্যমানতা তুলে ধরতে সংবাদসাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
সংবাদমাধ্যম এই ভূমিকা পালন করলে মানুষের মধ্যে ভোট নিয়ে কোনো ধরনের অনস্থা থাকলে সেটি ‘কেটে যাবে’ বলেও মনে করেন সিইসি।
রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর শান্তিনগর হাবীব উল্লাহ বাহার কলেজ কেন্দ্রে নিজের ভোট দিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ আহ্বান জানান সিইসি।
পরে সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়ায় সিইসি বলেন, ভালো লাগছে। সবার সহযোগিতায় পাঁচ বছর পর পর এ সংসদ নির্বাচনটা সম্পন্ন হয়। গণমাধ্যমকে অনুরোধ করবো- ভোটের দৃশ্যমানতা ও স্বচ্ছতা যতটা তুলে ধরা যায়। কারণ, ভোট নিয়ে যদি মানুষের কোনো অনাস্থা থাকে সে অনাস্থাটা যেন ক্রমআন্বয়ে কেটে যায়। এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করি।
কেন্দ্র কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতির জন্য অপেক্ষা করার কথা বলেছেন সিইসি।
তিনি বলেন, ভোটার উপস্থিতি কম কি বেশি সেগুলো আমি কিছুই জানি না। আমি এসে আমার ভোটটা দিয়ে গেছি। এটুকুই জানি। অপেক্ষা করুন, দেখবেন।
তবে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে ‘মাথাব্যথা নেই’ বলেও মন্তব্য করেন ভোট আয়োজনকারী সাংবিধানিক সংস্থার এই প্রধান।
তিনি বলেন, আমি ওসব নিয়ে চিন্তা ভাবনা করি না। আমার কাজ ভোট আয়োজন করা। কে ভোট দিতে আসবেন কি আসবেন না, সহিংসতা হবে কি হবে না এটা আইন শৃঙ্খলাবাহিনী দেখবেন।
রোববার সকাল ৮টায় জাতীয় সংসদের ২৯৯ আসনে ৪২ হাজার কেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বিরতিহীনভাবে এই ভোট চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এরপর শুরু হবে গণনা।
৪৪টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে বিএনপি ও সমমনা ২৮ দলের ভোট বর্জনের এই নির্বাচনে প্রার্থী আছেন ১৯৬৯ জন।
প্রায় ১২ কোটি ভোটার ব্যালট পেপারে সিল মেরে প্রায় দুই হাজার প্রার্থীর মধ্যে থেকে বেছে নেবেন তাদের প্রতিনিধি, আগামী পাঁচ বছর তাদেরকেই জাতীয় সংসদে দেখা যাবে আইনপ্রণেতার ভূমিকায়।
এমটিআই