ঢাকা : ভোটকেন্দ্রগুলোতে সব প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট রাখার বিষয়ে বারবার জোর দিলেও ভোটের সকালে তেমনটি দেখতে পাননি বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
নির্বাচন কমিশনে আইনশৃঙ্খলা মনিটরিং সমন্বয় সেল পরিদর্শন করে রোববার (৭ জানুয়ারি) ভোটগ্রহণের প্রথম দুই ঘণ্টার পরিস্থিতি সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন তিনি।
সিইসি বলেন, একটা জিনিস বলতে চাচ্ছিলাম- ভোটকেন্দ্রগুলোতে (সব প্রার্থীর) পোলিং এজেন্ট নেই। আসলে মনে হচ্ছে প্রতিদ্বন্দ্বী বা প্রতিপক্ষ প্রার্থী যারা, অনেকেরই বোধ হয় সে সামর্থ্য (পোলিং এজেন্ট দেওয়ার) নেই, যা আমি এক্সপেক্ট করেছিলাম।
আমরা খুব জোর দিয়ে বলেছিলাম, প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ভোট হতে হলে কেন্দ্রে অবশ্যই প্রত্যেকটা প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট থাকতে হবে। আমি যেগুলো পেয়েছি সবাই একই দলের, নৌকার পক্ষে বা ইয়ের পক্ষে। বাদ বাকি প্রার্থীদের কোনো লোকজন দেখি নাই।
ঢাকার শান্তিনগরে হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজ কেন্দ্রে সকালে নিজের ভোট দেন সিইসি। সকালে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়ারও প্রত্যাশা করেন তিনি।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, ভোটগ্রহণ মাত্র শুরু হয়েছে সকাল ৮টায়। ভোটার উপস্থিতি আশা করি আরও বাড়বে। প্রত্যেকটা সেন্টারে আমি খোঁজ নিয়েছি। ভোট হয়েছে অল্প অল্প। কোথাও ২৫টি কোথাও ৪০টি।
হরতাল ও সহিংসতার কারণে ভোটে প্রভাব পড়েছে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আমি বলতে পারব না। আমরা শুধু ভোটটা ম্যানেজ করছি। ভোটাররা কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে, সে ব্যাপারে আমি কোনো মন্তব্য করব না।
প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ভোটের প্রত্যাশা করে তিনি বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতা মানে, প্রার্থীদের মানুষ ভোট দেবে। কিন্তু আমরা চেয়েছিলাম যদি কোনোরকম অনিয়ম হয় তাহলে প্রতিপক্ষের পোলিং এজেন্ট যেন সেটা প্রতিহত করতে পারে।
বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো ভোট বর্জনের মধ্যে দেশের ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৯ আসনের ভোট হচ্ছে রোববার। দেশের ৪২ হাজার ২৪টি কেন্দ্রে ব্যালট পেপারে সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
এমটিআই