• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

ডিজিটালের স্মার্ট যাত্রা


নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ১২, ২০২৪, ০২:৪৯ পিএম
ডিজিটালের স্মার্ট যাত্রা

ঢাকা : আগের তিন মেয়াদে ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির অনেকখানি পূরণ করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। এবার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যাত্রায় নতুন সরকার গড়েছে টানা চারবার ক্ষমতায় আসা দলটি। আর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রেকর্ড পঞ্চমবারের মতো শপথ নিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রীকে দায়িত্ব ও গোপনীয়তা রক্ষার শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। প্রধানমন্ত্রী শপথ নেওয়ার পর রাষ্ট্রপতি তাকে অভিনন্দন জানান। এরপর ২৫ জন মন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রী রাষ্ট্রপতির কাছে শপথ নেন।

২০০৯ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সরকার গঠন করেন শেখ হাসিনা। ধাপে ধাপে দেশের বিভিন্ন খাত ডিজিটাইজেশন করেছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বিগত তিন সরকার। এর ধারাবাহিকতায় স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কর্মসূচি ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে নতুন মন্ত্রিসভার যাত্রা শুরু হলো।

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা ৫৪ মিনিটে বঙ্গভবনের দরবার হলে শপথের কর্মযজ্ঞ শুরু হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।

অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির পত্নী ড. রেবেকা সুলতানা, প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা ও তার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং সরকারের পদস্থ কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, কূটনীতিক, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বঙ্গভবনে ছিল উৎসবের আমেজ। জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান উপস্থিত ছিলেন শপথ অনুষ্ঠানে।

একাদশ সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এবং দলটির সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদারকে শপথ অনুষ্ঠানে দেখা গেছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ফজলে নূর তাপসও অতিথি সারিতে ছিলেন। ১৪ দলীয় জোটের শরিক নেতাদের মধ্যে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাম্যবাদী দলের সভাপতি দিলীপ বড়ুয়া, ভোটে হেরে যাওয়া জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু এসেছিলেন শপথ অনুষ্ঠানে।

স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করে ভোটে জয়ী সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, তার ভাই কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকীও এসেছিলেন।

আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর চাচা শেখ কবীর হোসেন ও চাচাতো ভাই শেখ হেলালও ছিলেন।

বিদায়ী সরকারের যারা নতুন মন্ত্রিসভায় জায়গা পাননি, তাদের মধ্যে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, সাবেক প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদকে অনুষ্ঠানে দেখা গেছে।

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মসিউর রহমান, তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী এবং সালমান এফ রহমানও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার মন্টিটাস্কি, ভারতের রাষ্ট্রদূত প্রণয় ভার্মা, চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, বিচারপতি, দেশের তিন বাহিনীপ্রধান, আইনজীবী, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন বঙ্গভবনের দরবার হলে।

এর আগে ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ এবং প্রতিবারই প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২২২ আসনে জয়লাভ করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে আওয়ামী লীগ। গত বুধবার শপথ নেন নতুন সংসদ সদস্যরা। শপথ নেওয়ার পর আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা সর্বসম্মতিক্রমে দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তাদের সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচিত করেন।

সংসদ নেতা হওয়ার পর বুধবার বিকেলে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি শেখ হাসিনাকে নতুন সরকার গঠনের আহ্বান জানান। এরপর প্রধানমন্ত্রী তার মন্ত্রিসভা গঠন করেন এবং বুধবার সন্ধ্যায় মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের তালিকা নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন। রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী গঠিত মন্ত্রিসভায় সম্মতি দেন। এরপর মন্ত্রিসভার ওই তালিকা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়। গতকাল তাদের নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন বুধবার রাতে সচিবালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে ২৫ মন্ত্রী ও ১১ প্রতিমন্ত্রীর নাম প্রকাশ করেন।

গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ ২৮টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও তাদের জোটসঙ্গীরা এ নির্বাচনে অংশ নেয়নি।

একই মন্ত্রণালয়ে রয়ে গেলেন যারা : বর্ষীয়ান আ ক ম মোজাম্মেল হক এবারও সামলাবেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় আবারও সামলাবেন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। যদিও একসময় ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদকদের দেওয়া হতো স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।

পুরনোদের মধ্যে নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন শিল্প ও আসাদুজ্জামান খান স্বরাষ্ট্রের দায়িত্বেই রয়েছেন। টানা তৃতীয়বারের মতো আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়ে নতুন নজির স্থাপন করেছেন আনিসুল হক। তার আগে কেউ এভাবে টানা তিনবার এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনের সুযোগ পাননি।

গত সরকারের দুজন মন্ত্রী এবার নতুন দপ্তর পেয়েছেন। তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ পেয়েছেন এই সময়ের গুরুত্বপূর্ণ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় বৈশ্বিক চাপ সামলানোর মতো গুরুদায়িত্ব পালন করতে হবে ড. হাছানকে। একসময় তিনি বন ও পরিবেশবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এবার সামলাবেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। তিনি এমন একসময় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ছাড়লেন, যখন মাধ্যমিকের সিলেবাসে ব্যাপক বদল আনা হয়েছে। এর আগে ২০০৯-১৩ মেয়াদে দীপু মনি সামলেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দীপু মনি টানা তিন সরকারে তিন মন্ত্রিসভার দায়িত্ব পেয়ে নতুন নজির স্থাপন করেছেন। পুরনোদের মধ্যে নতুন মন্ত্রিসভায় ফিরেছেন আবুল হাসান মাহমুদ আলী অর্থ মন্ত্রণালয়, মুহাম্মদ ফারুক খান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনবিষয়ক মন্ত্রণালয়, জাহাঙ্গীর কবির নানক বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ব্যাকফুটে চলে যাওয়া সাবের হোসেন চৌধুরী পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশ ও জলবায়ু নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কাজ করছেন।

প্রতিমন্ত্রী থেকে পদোন্নতি : বিগত সরকারের সফল জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এবার পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন। দক্ষতার সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে এ পুরস্কার দিয়েছেন। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি একই মন্ত্রণালয় হলেও সর্বশেষ আওয়ামী লীগ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন জুনাইদ আহমেদ পলক এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মোস্তাফা জব্বার। নতুন সরকারে মোস্তাফা জব্বারকে রাখা হয়নি।

নতুন মন্ত্রিসভায় প্রথমবারের মতো ১৪ জন যুক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে একজন র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। তিনি ছিলেন তুখোড় ছাত্রনেতা। মুক্তিযুদ্ধে ছিল সক্রিয় অংশগ্রহণ। তিনি ১৯৮৩ সালে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে প্রশাসন ক্যাডারে যোগ দেন। ১৯৮৬ সালে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি সরকারি চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে মনোনিবেশ করেন।

নতুন মন্ত্রিসভায় কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন মৌলভীবাজার-৪ (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) আসনের টানা সাতবারের সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ। ১৯৯১ সাল থেকে প্রতিটি সংসদীয় নির্বাচনে আবদুস শহীদ জয়লাভ করে আসছেন।

ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে একমাত্র সদস্য হিসেবে এবার জায়গা করে নিয়েছেন আবদুস সালাম। প্রথমবারই তিনি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় সামলাবেন। ভূমির মতো জটিল মন্ত্রণালয় সামলাবেন আরেক নতুন মুখ নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য মো. আবদুর রহমান একাধিকবার সংসদে এলেও কখনো মন্ত্রিসভায় স্থান পাননি। এবার তাকে দেওয়া হয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। নানা সমস্যায় নিমজ্জিত রেলপথকে চাঙ্গা করতে হবে আরেক নতুন মুখ মো. জিল্লুল হাকিমকে। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান ও মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রয়াত আইভি রহমানের ছেলে বিসিবি বস নাজমুল হাসান (পাপন) এবার যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সামলাবেন।

এ ছাড়া প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে তাজউদ্দীনকন্যা সিমিন হোসেন রিমি প্রথমবারেই পেয়েছেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। এর আগে তার ভাই তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ডা. এনামুর রহমান নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় এবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে তার স্থলাভিষক্ত হলেন মো. মহিববুর রহমান। হাল আমলে আওয়ামী লীগের বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় খ্যাতি পাওয়া মোহাম্মদ আলী আরাফাত তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের গুরুদায়িত্ব পালন করবেন। আওয়ামী লীগের জেলা পর্যায়ে নিবেদিতপ্রাণ রাজনীতিক শফিকুর রহমানকে সংসদে ফিরিয়েই প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কলেজ শিক্ষক রুমানা আলী প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সামলাবেন। তার বাবা প্রথিতযশা রাজনীতিক প্রয়াত রহমত আলী।

দেশের বাজার ব্যবস্থাপনা গত কয়েক বছরে সবচেয়ে দুর্বল এবং আস্থাহীন অবস্থায় পৌঁছেছে। গত পাঁচ বছরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একজন পূর্ণমন্ত্রী থাকার পরও বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। আহসানুল ইসলামকে (টিটু) প্রথমবারেই নিতে হবে সেই চ্যালেঞ্জ।

টেকনোক্র্যাট : এবার মন্ত্রিপরিষদে চমক হিসেবে এসেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি সংসদ সদস্য নন, টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সামন্ত লাল সেনকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

টানা তিন সরকারে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হিসেবে স্থপতি ইয়াফেস ওসমান গড়েছেন অনন্য রেকর্ড। কথাসাহিত্যিক শওকত ওসমানের ছেলে ইয়াফেস ওসমান নিজের দক্ষতা দিয়ে বারবার প্রধানমন্ত্রীর আস্থা অর্জনের পুরস্কার পেয়ে চলেছেন।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!