ঢাকা: দুই একদিনের মধ্যেই গ্যাস সরবরাহে উন্নতি হবে আশ্বাস দিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, চট্টগ্রাম অঞ্চলসহ কিছু এলাকায় গ্যাসের যে সংকট তা সাময়িক। মহেশখালীতে দুটি এলএনজি (তরলীকৃত ন্যাচারাল গ্যাস) সরবরাহে ২টি এফএসআরইউ (ফ্লোটিং স্টোরেজ রি-গ্যাসিফিকেশন ইউনিট) রয়েছে। এরমধ্যে একটিতে কারিগরি ত্রুটির কারণে গ্যাস সরবরাহ সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। আরেকটি তখন নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণে ছিল। যে কারণে এই সংকট তৈরি হয়েছিল, বর্তমানে দুটিই চালু হয়েছে।
রোববার (২১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমানে গ্যাসের চাহিদা রয়েছে ৩ হাজার ৮০০ মিলিয়নের মতো। আর আমরা সরবরাহ করতে পারছি ৩ হাজার ২০০ মিলিয়নের মতো। এ কারণে কিছুটা ঘাটতি থেকেই যাচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, শীতে এমনিতেই গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয় বাসাবাড়িতে রান্নার জন্য। তিনি গ্রাহকদের একটু ধৈর্য ধরতে অনুরোধ করেন। আশার কথা হচ্ছে দেশীয় গ্যাস ফিল্ডগুলো থেকে ভালো খবর পাওয়া যাচ্ছে, গ্যাসের উৎপাদন বাড়ছে। সরকার যেভাবে ২০২১ সালে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করেছে, তেমনি ২০২৬ সালের মধ্যে নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করবে। ২০২৬ সালের মধ্যে দৈনিক চাহিদা হবে ৬ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট। আমাদের সেভাবে প্রস্তুতি রয়েছে। সিস্টেমে মোট ২০ শতাংশ গ্যাস আমদানি থেকে জোগান আসছে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে এই অনুপাত অব্যাহত রাখা। অগ্রাধিকার নিজস্ব গ্যাস সম্পদের আহরণ বাড়ানো। ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৬টি কূপ খননের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ চলছে।
রান্নায় গ্যাসের সমস্যা সমাধানে বিকল্প হিসেবে এলপিজির ব্যবহার জনপ্রিয় হচ্ছে বলে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রায় ৭৫ শতাংশ রান্নায় এলপিজি ব্যবহার করে। শুধু ঢাকা ও আশপাশে, চট্টগ্রাম, সিলেটে কিছু গ্রাহক প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করে। এখন অনেকেই গ্যাস না পেলেও মাস শেষে বিল দিতে হচ্ছে। তাই আবাসিক গ্রাহকদের মিটারের আওতায় আনা হচ্ছে। ইতোমধ্যে সাড়ে চার লাখ মিটার বসানো হয়েছে। আগামী তিন বছরে সব গ্রাহকের কাছে মিটার পৌঁছানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। মিটার বসানোর পর যারা যতটুকু গ্যাস পাবেন, ততটুকু বিল দেবেন।
ওয়াইএ
আপনার মতামত লিখুন :