ঢাকা : নির্বাচন নিয়ে কূটনৈতিক সংকটের কোনো শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বিরোধাতাকারীরাও বুঝতে পেরেছে নির্বাচন পরিচ্ছন্ন হয়েছে।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) সচিবালয়ে ভারত ও চীনের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠক শেষে মন্ত্রীরা এসব কথা বলেন। এসময়, বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়ানোর আশ্বাস দেয় ভারত ও চীন।
গত ৭ জানুয়ারি, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় আওয়ামী লীগ। ১১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত হয় মন্ত্রিসভা। এরপর থেকে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা সাক্ষাৎ করছেন নতুন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের সঙ্গে।
এরই ধারাবাহিকতায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
পরে আইনমন্ত্রী জানান, নির্বাচন নিয়ে কূটনৈতিক সংকটের শঙ্কা ভেস্তে গেছে। তিনি জানান, বিনিয়োগ ও বাণিজ্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে ভারতের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
আনিসুল হক বলেন, ‘একটা কূটনৈতিক সংকট হতে পারে, অবশ্যই নির্বাচনের পরে আপনারাও দেখেছেন সে রকম কোনো কূটনৈতিক সমস্যা, সম্ভাবনাই নাই।’
এছাড়া, চীন সরকারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে গ্রেট ওয়াল কমোরেটিভ মেডেল হস্তান্তর করেন দেশটির রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
সাক্ষাৎ শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে কেউ প্রশ্ন তোলেনি। যারা বিরূপ মন্তব্য করেছেন তারাও এখন চুপ।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কোনো দেশ থেকেই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়নি। কাজেই আমরা মনে করি, একটি সুন্দর নির্বাচন জাতিকে উপহার দিয়েছে নির্বাচন কমিশন, আন্ডার দ্যা লিডারশিপ অব আওয়ার প্রাইম মিনিস্টার। আমাদের সম্পর্ক যে বিদেশি রাষ্ট্র ও অন্যান্য প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে আমাদের চমৎকার কর্মসংস্থান হবে। আমি মনে করি, এটা আরও স্ট্রং হবে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, সাইবার ও সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিতে একসাথে কাজ করবে বাংলাদেশ ও চীন। এদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেয়ার আশ্বাসও দিয়েছে বেইজিং।
এমটিআই