• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

তাড়া খেয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপির সংখ্যা বাড়ছে


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৪, ০৬:৩৪ পিএম
তাড়া খেয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপির সংখ্যা বাড়ছে

ঢাকা: মিয়ানমারের সেনবাহিনী ও বিদ্রোহীদের চলমান সংঘর্ষের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশে। এতে বিদ্রোহীদের তাড়া খেয়ে পালিয়ে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) অন্তত ৩০ জন সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করছেন বলে জানা গেছে।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন তারা।

জানা গেছে, প্রথম ধাপে ১৪ জন, পরে গুলিবিদ্ধ দুইজনসহ আরও ৫ সদস্য তুমব্রু বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়। এরপর এই সংখ্যা বাড়তে থাকে। আরও বিজিপি সদস্য বাংলাদেশের প্রবেশের অপেক্ষা রয়েছে।

এর আগে, সকালে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বিজিপির ১৪ সদস্য আশ্রয় নেন বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের বিজিবি ক্যাম্পে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী । তিনি জানান, মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে মিয়ানমারের ১৪ সেনাসদস্য বাংলাদেশ সীমান্তের বান্দরবানের তুমরু বিজিবি ক্যাম্পে চলে আসে। পরে তাদের কাছ থেকে অস্ত্র নিয়ে ফেলে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়েছে। এবিষয়ে আন্তর্জাতিক আইনে প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মিয়ানমারে সীমান্তবর্তী ক্যাম্প দখলকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হচ্ছে। শনিবার বিকেল থেকে থেমে থেমে গোলাগুলি হচ্ছিল। রোববার ভোর থেকে আবার লাগাতার গোলাগুলি, মার্টারশেল নিক্ষেপ ও রকেট লান্সার বিস্ফোরণে, বিকট শব্দে কেপে উঠছে সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রুর বিস্তীর্ণ এলাকা। শুধু তাই নয় গুলির সিসা ও রকেট লঞ্চার উড়ে এসে পড়ছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে। তাদের ছোড়া গুলিতে এক বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। এছাড়া, ঘুমধুম-তুমব্রু এলাকায় বসত বাড়িতে এসব এসে পড়ছে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। আতঙ্ক, উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন তারা। ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠাতেও পারছেন না অভিভাবকরা। এছাড়াও কৃষকরা কৃষি ক্ষেতে যেতে ও দৈনন্দিন কাজে যেতে ভয় পাচ্ছেন তারা।

এরপর দুই গুলিবিদ্ধসহ আরও ৫ বিজিপি সদস্য তুমব্রু বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় নেন। এই সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়ে আশ্রয়ের সংখ্যা অন্তত ৩০ জন হবে বলে জানা যায়।

এমএস

Wordbridge School
Link copied!