• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

সীমান্ত পরিস্থিতিতে নজর রাখছে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৪, ০২:২৪ পিএম
সীমান্ত পরিস্থিতিতে নজর রাখছে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকা : মিয়ানমারে বাংলাদেশ সীমান্ত-ঘেঁষা এলাকায় বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সাথে সে দেশটির সেনাবাহিনীর যুদ্ধ চলছে।এতদিন এই যুদ্ধকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলা হলেও সীমান্ত পাড়ি দিয়ে সে দেশের একের পর এক সীমান্তরক্ষী বা সেনা সদস্যর অনুপ্রবেশের ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে বাংলাদেশেও।

তবে সীমান্তের বর্তমান পরিস্থিতির উপর বাংলাদেশ নজর রাখছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠাতে দেশটির সঙ্গে আলোচনা চলছে।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের ফেরত পাঠাতে কূটনৈতিকভাবে আলোচনা চলছে। আর যারা আহত তাদের কক্সবাজারের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, এখন পর্যন্ত রেজিস্টার্ড ৯৫ সদস্য এসেছে। সীমান্ত সুরক্ষিত আছে। ফলে তৃতীয় পক্ষ ডাকার সুযোগ নেই।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ইন্দো–প্যাসিফিক রিজিয়নে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার হওয়ার আলোচনা হয়েছে ব্রাসেলসে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চিঠির পরে সম্পর্ক নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন নেই বলে মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক, জলবায়ু ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করবে। বাইডেনের চিঠির পরে সম্পর্ক নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন নেই।

এর আগে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। প্রেসিডেন্ট বাইডেনের চিঠিতে বলা হয়, ‘আমেরিকা বাংলাদেশের উচ্চাভিলাষী অর্থনৈতিক লক্ষ্যকে সমর্থন করতে এবং একটি মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য আমাদের যৌথ ভিশনে বাংলাদেশের সাথে অংশীদারত্ব করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

চিঠিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘দুই দেশ আমেরিকা-বাংলাদেশ অংশীদারত্বের পরবর্তী অধ্যায় শুরুর এ সময় আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং জ্বালানি, বৈশ্বিক বিষয়ে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমার প্রশাসনের আন্তরিক ইচ্ছা প্রকাশ করতে চাই।’

চিঠিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘স্বাস্থ্য, মানবিক সহায়তা, বিশেষ করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য এবং আরও অনেক ক্ষেত্রে কাজ করার আমাদের একটি দীর্ঘ এবং সফল ইতিহাস রয়েছে এবং আমাদের জনগণের মধ্যে শক্তিশালী বন্ধন দুদেশের এই সম্পর্কের ভিত্তি।’

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!