ঢাকা : এলাকায় চাঁদাবাজি ও মজুতদারি বন্ধে জনপ্রতিনিধিদের কঠোর হওয়ার নির্দেশে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, সব জায়গায় চাঁদাবাজি ও মজুতদারি বন্ধ করতে হবে। আপনারা বিভিন্ন এলাকার প্রতিনিধি, এতে আপনাদেরও নজর দিতে হবে। একদিকে কৃষক যাতে প্রকৃত মূল্যটা পায়, সেদিকে নজর দিতে হবে।
অন্যদিকে, এই অহেতুক চাঁদাবাজি ও মজুতদারির জন্য যাতে পণ্যের দাম না বাড়ে, সেটি দেখতে হবে।
গণভবনে শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় কথা বলছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
দলীয় নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে আমি স্বতন্ত্র উন্মুক্ত করে দিয়েছিলাম। এ ছাড়া আমাদের উপায় ছিল না। ভোট কেন্দ্রে যাতে ভোটার আসে, নির্বাচন যেন উৎসবমুখর হয়, সেদিকে নজর রেখে উন্মুক্ত করে দিয়েছি।
আমাদের অনেকেই নির্বাচন করেছে। এ নিয়ে অনেকের মধ্যে মন কষাকষি আছে। দূরত্ব তৈরি হয়েছে। যা হয়ে গেছে, হয়ে গেছে। এখন এক হয়ে কাজ করতে হবে। কোথাও কোনো সমস্যা হলে আমরা সমাধান করব। কিন্তু নিজেরা আত্মঘাতী সংঘাতে লিপ্ত হওয়া যাবে না। এবার নৌকার জোয়ার ছিল, এই জোয়ারেও জিততে না পেরে একে ওকে দোষারোপ করে লাভ নেই।
নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশন নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ৮১টা সংস্কার প্রস্তাব কার্যকর করে নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করে দিয়েছি। নির্বাচন কমিশন যাতে নিরপেক্ষ কাজ করতে পারে, সে ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এই সাহস আওয়ামী লীগেরই আছে। যার কারণে এই নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে।
কিছু দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকেও বলা হচ্ছে, নির্বাচন হয়েছে ঠিক, অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। তাদের দেখাতে হবে কোথায় অবাধ সুষ্ঠু হয়নি। আমরা তো এতটুকু বলতে পারি, নির্বাচন অত্যন্ত অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে হয়েছে। সব বাহিনী নিরপেক্ষভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করেছে। অনেকে চেয়েছে, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু না হোক। তাতে প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে এবং স্যাংশন দেওয়া যাবে। স্যাংশন নিয়ে আমি বলেছিলাম, আমরাও স্যাংশন দিতে পারি। না জেনে বলি না। আমি স্যাংশনের সব জানি বলেই বলেছি।
নির্বাচন নিয়ে চক্রান্ত হয়েছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারে যাতে না আসতে পারে, বারবার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। জনগণ আমাদের শক্তি, তারা চেয়েছে বলে এসেছি। নেতাকর্মীদের ত্যাগ-তিতীক্ষার বিনিময়ে নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আজ আমরা এখানে।
বারবার নির্বাচন নিয়ে চক্রান্ত হয়েছে। সব চক্রান্ত মোকাবেলা করে আমরা ক্ষমতায় এসেছি। ২০১৪-তে চেষ্টা করেছে, নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি। ২০১৮ তে এসেও আবার পরাজয় জেনে সরে গেছে। নির্বাচন যেন না হয়, সে অপচেষ্টা করেছে। এবারও বানচাল করার চেষ্টা করেছে। এখনো লম্ফঝম্প করছে। কিন্তু কোনো লাভ হবে না। জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে।
বর্ধিত সভার শুরুতে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শোক প্রস্তাব পাঠ করেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।
আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দ, জেলা-মহানগর ও উপজেলা-থানা-পৌর (জেলা সদরে অবস্থিত পৌরসভা) আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা, জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের দলীয় চেয়ারম্যানরা, সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার দলীয় মেয়ররা এবং সহযোগী সংগঠনসমূহের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা সভায় অংশ নেন।
এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :