ঢাকা: স্বরারাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘সব সংস্থা ২০২৩ সালে সারাদেশে ৯৭ হাজার ২৪১টি মামলা দায়ের করে ১ লাখ ২০ হাজার ২৮৭ জন মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনে। জব্দ করা হয় বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য।’
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এইচ এম বদিউজ্জামানের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে বর্তমান সময়ের আলোচিত মাদকদ্রব্য ইয়াবার অনুপ্রবেশ ঘটে মিয়ানমার থেকে। ভারত থেকে গাঁজা, ফেনসিডিল, হেরোইন ও ইনজেক্টিং ড্রাগ অনুপ্রবেশ করে।’
তিনি বলেন, ‘মাদক নির্মূলে সারাদেশে সব আইন-প্রয়োগকারী সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স ২০২৩ সালে ১৯ হাজার ১৭০টি অভিযান পরিচালনা করে ৮ হাজার ৫৬৭টি মামলা দায়ের করে। ওই মামলাগুলোতে ৮ হাজার ৬০৫ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। তাছাড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, কোস্টগার্ড, ডিজিএফআই ও এনএসআই এর সমন্বয়ে কক্সবাজার ও টেকনাফে ইয়াবা পাচারবিরোধী টাস্কফোর্স কমিটি গঠিত হয়েছে। টাস্কফোর্স কর্তৃক ২০২৩ সালে ২৮০টি অভিযান পরিচালনা করে ৯৫ জন অবৈধ মাদক চোরাকারবারীর বিরুদ্ধে ৮৪ মামলা দায়ের করা হয় এবং ১ লাখ ৯ হাজার ৭০৮ ইয়াবা, ৪ কেজি হেরোইনসহ অন্য মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ (সংশোধিত ২০২০) এ ইয়াবা (এ্যামফিটামিন) ক শ্রেণির মাদকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং এ মাদক সংক্রান্ত অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। মাদক কারবারের মূল হোতাদের যথাযথ শাস্তি বিধান কল্পে এ আইনে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণেরও বিধান সন্নিবেশিত করা হয়েছে। এ আইনে মাদক অপরাধের পৃষ্ঠপোষক, প্ররোচনাদানকারী এবং সহযোগীদের বিরুদ্ধেও কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।’
এমএস