ঢাকা: সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে আসন্ন রমজান মাসে আরও দুইবার এক কোটি পরিবারকে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিতরণ করা হবে। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা বিষয়ক টাক্সফোর্সের সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি পরিবারকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি বিতরণ আমরা শুরু করেছি। এই রমজানে আরও দুইবার আমরা এটা করব। সেখানে চাল থাকবে ৫ কেজি, তেল থাকবে, ডাল থাকবে, চিনি, খেজুর এবং ছোলা থাকবে।’
আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘আমাদের যারা ব্যবসায়ী আছেন বিভিন্ন পর্যায়ের তারা নিশ্চিত করেছেন- আগামী রমজানে যে পরিমাণ অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বাজারে থাকা দরকার বা মজুদ থাকা দরকার বা পাইপলাইনে থাকা দরকার সবগুলোই মোটামুটি পর্যাপ্ত আছে।
মৌলভীবাজারের (পুরান ঢাকার) ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে গোলাম মাওলা বলেছেন, উৎপাদনকারী যারা আছেন তাদের সরবরাহ যদি ঠিক থাকে, উনাদের কাছে যে আমদানিকৃত পণ্য আছে এবং যে পরিমাণ মজুদ আছে এটা রমজানের জন্য যথেষ্ট।’
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত থেকে পেঁয়াজ ও চিনি আমদানি জন্য যে প্রক্রিয়াগুলো আমরা নিয়েছি। নীতিগতভাবে ভারত সরকার পেঁয়াজের বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে। এখন আমরা অফিসিয়ালি কাগজ পেলে তা দ্রুত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে এসে পৌঁছাতে পারে, সে পদক্ষেপ আমরা নেব।’
তিনি বলেন, ‘এ ছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয় বছরে দুইবার পেঁয়াজ উৎপাদনের যে উদ্যোগ নিচ্ছে, আমরা আশা করছি আগামী কয়েক বছরের মধ্যে চালের মতো এটাতেও আমাদের আমদানি নির্ভর হতে হবে না।’
মিয়ানমার থেকে নিত্যপণ্য আমদানির বিষয়ে আহসানুল ইসলাম বলেন, ‘মিয়ানমারে সব সময় নিউজ হয় আমাদের বর্ডার ও রোহিঙ্গা নিয়ে। মিয়ানমার সরকারের পক্ষ থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আমরা যেন বর্ডার থেকে নদী পথে আনতে পারি সে ধরনের একটি এমওইউ ড্রাফট বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এসেছে। আমি প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে কথা বলেছি। উনি বিষয়টিকে পজিটিভভাবে নিয়েছেন। আমাদের নৌ-পরিবহন মন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে দ্বিপক্ষীয় নৌ-পরিবহন চুক্তির মাধ্যমে আমরা যেন মিয়ানমার থেকে সহজে পণ্য বাংলাদেশে নিয়ে আসতে পারি।’
তিনি বলেন, ‘ভোক্তা অধিদপ্তরের নেতৃত্বে আগামী ২২ তারিখ মৌলভীবাজারে যাব। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করব যাতে তারা পণ্য সরবরাহের মাধ্যমে সব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যগুলো ভোক্তাদের জন্য পর্যাপ্ত রাখতে পারে।’
এমএস