• ঢাকা
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

৩৪ বিদেশি কূটনীতিক কেন চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী


নিজস্ব প্রতিবেদক  ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৪, ০৮:১৩ পিএম
৩৪ বিদেশি কূটনীতিক কেন চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকা: চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ  
উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দেখাতে বিদেশি কূটনীতিকদের চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বিদেশি কূটনীতিকরা বাংলাদেশের উন্নয়নের খবর তাদের নিজ দেশে পাঠাবেন বলে মনে করেন তিনি।

দুই দিনব্যাপী ‘অ্যাম্বাসেডরস আউটরিচ প্রোগ্রাম’-এর আয়োজন করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর আওতায় আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার মিশনপ্রধানদের সঙ্গে নিয়ে চট্টগ্রামে নেভাল একাডেমি এবং কর্ণফুলী টানেল পরিদর্শন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপর ট্রেনযোগে কক্সবাজার যাত্রার আগে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা জানান তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার কোথাও নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল সড়ক নেই। এই যে অসাধারণ উন্নয়ন; যেসব আজ থেকে ১৫-২০ বছর আগে মানুষ কল্পনাও করেনি, সেসব আজ বাস্তব। সেই বাস্তবতা কূটনীতিকেরা নিজের চোখে দেখেছেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিদেশি কূটনীতিকেরা যাতে দেশ ও দেশের অগ্রগতি সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানতে পারেন, কাছ থেকে দেখতে পারেন, সে জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই আউটরিচ প্রোগ্রামের আয়োজন করেছে। রাজধানীর বাইরে পরিদর্শনের মাধ্যমে কূটনীতিকেরা বাঙালি জাতির সামর্থ্য ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে যে উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ চলছে, সেই খবরগুলো তাদের দেশে পৌঁছাবেন।’

তিনি বলেন, ‘দেশে বিরাট উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ হয়েছে। আরও নানা কাজ হচ্ছে। মূলত এসব দেখাতে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের চট্টগ্রামে আনা হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে ট্রেনযোগে তারা কক্সবাজার যাচ্ছেন।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারী পর্যন্ত রেললাইন হয়েছিল ১৯৩০ সালে। এ ছাড়া ১৯০০ সালের পর চট্টগ্রাম থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এরপর দেশভাগ হলো। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও পরিকল্পনা করেছিলেন, কিন্তু বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি। কারণ, তাকে সাড়ে তিন বছরের মাথায় (দেশ স্বাধীনের) হত্যা করা হয়েছিল।’

‘অ্যাম্বাসেডরস আউটরিচ প্রোগ্রাম’-এ ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), রাশিয়া, চীন, কোরিয়া, ইতালি, ডেনমার্ক, কসোভো, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, নেপাল, শ্রীলংকা, ভিয়েতনাম, ভ্যাটিকান, ভুটান, স্পেন, আর্জেন্টিনা, লিবিয়া, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, মিশর, ফ্রান্স এবং এফএও, আইইউটি, একেডিএন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ২৪ জন মিশন প্রধানসহ ৩৪ জন কূটনৈতিক অংশ নিচ্ছেন।

এমএস

Wordbridge School
Link copied!