• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয় ভারত: মুর্মু


বাসস ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৪, ০২:৪০ পিএম
বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয় ভারত: মুর্মু

ঢাকা : ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বলেছেন, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে তার বন্ধুত্বকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয় এবং তার পূর্ণ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তিনি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধন রয়েছে, যা দুই দেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং ত্যাগের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ভারত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বন্ধু এবং অংশীদার হতে পেরে গর্বিত এবং প্রতিবেশীর সাথে উন্নয়ন অভিযাত্রায় অংশীদার হয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।

নয়াদিল্লীতে বাংলাদেশের ১০০ সদস্যের একটি যুব প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপতি ভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাত করতে গেলে তিনি বলেন, আমাদের অবশ্যই এই চেতনাকে রক্ষা করতে হবে এবং লালন করতে হবে, যা আমাদের দুই দেশের মধ্যে অনন্য বন্ধনকে অনুপ্রাণিত করে।

ভারতের রাষ্ট্রপতি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক হৃদয় ও আত্মার সম্পর্ক কারণ দুই দেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক যোগসূত্র রয়েছে এবং শিল্প, সঙ্গীত, ক্রিকেট এবং খাবারের ক্ষেত্রে দুই দেশের অভিন্ন সম্পর্ক রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, রবি ঠাকুরের লেখা দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীতই গর্বের উৎস। "বাউল' সঙ্গীত এবং কাজী নজরুল ইসলামের রচনার প্রতি আমাদের ভালবাসা অভিন্ন। আমাদের অভিন্ন ঐতিহ্যে আমাদের ঐক্য ও বৈচিত্র্য উদযাপিত হয়"।

ভারতের রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেছেন যে, ভারত ও বাংলাদেশ একটি বৃহৎ ও উদ্যমী যুব জনসংখ্যার আবাসস্থল, যাদের বিশ্বকে একটি নতুন রূপ দেয়ার সীমাহীন সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি সকলকে এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, আগামী দিনের নেতা হিসেবে সবুজ, টেকসই ও শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গড়ে তোলা তরুণদের দায়িত্ব।

তিনি উল্লেখ করেন, এই প্রতিনিধি দলের সদস্যদেরকে সারা বাংলাদেশ থেকে বাছাই করা হয়েছে। এটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, যেখানে ৫০ শতাংশেরও বেশি নারী এবং সর্বস্তরের অংশগ্রহণকারীরা রয়েছে।

এদের সফর সম্পর্কে রাষ্ট্রপতি বলেন, এখানে তাদের উপস্থিতি শুধু সফর নয়; এটি দুই দেশের মধ্যে একটি সেতু বন্ধন গড়ে তুলবে। এটি সহযোগিতা ও বন্ধুত্বের স্থায়ী চেতনার প্রমাণ যা ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ককে তুলে ধরছে।

বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশন প্রোগ্রাম ২০১২ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে শুরু হয়েছিল যার উদ্দেশ্য ছিল দুটি দেশের তরুণদের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সমঝোতা গড়ে তোলা, ধারণার আদান-প্রদান এবং মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির উপলব্ধি উন্নত করা।

এমটিআই

 

Wordbridge School
Link copied!