ঢাকা: রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনের অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জন নিহত হন। এর মধ্যে এক নারী সাংবাদিক রয়েছেন। ওই সাংবাদিককে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামে চিনতেন তার সহকর্মীরা, ফেসবুকেও তার ওই নাম পাওয়া যায়।
তবে ওই নারীর মরদেহ নিতে কুষ্টিয়ার খোকসা থেকে আসা সবুজ শেখ নিজের মেয়ে দাবি করে তার নাম বৃষ্টি খাতুন উল্লেখ করলে মরদেহ হস্তান্তর নিয়ে তৈরি হয় জটিলতা।এ অবস্থায় এখনো মর্গেই পড়ে আছে তার মরদেহ।
পুলিশ বলছে, অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টির মরদেহ হস্তান্তর নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। এ কারণে তার মা-বাবা দাবি করা ব্যক্তির কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেনি কর্তৃপক্ষ।
মরদেহ নিতে কুষ্টিয়ার খোকসা থেকে বাবা ও মা দাবি করা সবুজ শেখ ও বিউটি বেগম ছাড়া অন্য কেউ আসেননি। এরই মধ্যে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর ফিঙ্গারপ্রিন্ট পরীক্ষা করা হয়। ফিঙ্গারপ্রিন্ট পরীক্ষায় দেখা যায় এনআইডিতে তার নাম বৃষ্টি খাতুন হিসেবে নিবন্ধিত। বাবার নাম সবুজ শেখ, মায়ের নাম বিউটি বেগম। বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বনগ্রাম গ্রামে।
অভিশ্রুতির বাবা দাবি করা সবুজ শেখ সাংবাদিকদের বলেন, ডিএনএ টেস্টের জন্য কাগজপত্র তৈরি করেছে। কিছুক্ষণ পর ডিএনএ নেবে। এরপর হয়তো মেয়ের মরদেহ আমাদের কাছে বুঝিয়ে দেবে।
জানতে চাইলে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া জানান, অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টির মরদেহ হস্তান্তর নিয়ে জটিলতা দেখা দেওয়ায় ডিএনএ টেস্ট করা হবে।
আইএ