ঢাকা: রাজধানীর বেইলি রোডের ভয়াবহ আগুনে নিহত ৪৬ জনের মধ্যে একজন হলেন বৃষ্টি খাতুন বা অভিশ্রুতি শাস্ত্রী। তিনি পেশায় সাংবাদিক ছিলেন।
মৃত্যুর পর মরদেহ শনাক্ত করতে এসে সবুজ শেখ নামের একজন নিজেকে পিতা দাবি করেন নিহতের নাম বৃষ্টি খাতুন বলে জানান তবে তার সহকর্মীরা জানান নিহতের নাম অভিশ্রুতি শাস্ত্রী। এমন বিতর্কে লাশ পড়ে আছে মর্গে। সর্বশেষ প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, লাশের ডিএনএ পরীক্ষার পর আদালতের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত করা হবে।
এদিকে জানা গেছে, অগ্নিকাণ্ডে নিহত অভিশ্রুতি নামের ব্যক্তি বাস্তবে বৃষ্টি খাতুন। তিনি তার জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) সংশোধন চেয়ে আবেদন করেছেন। আবেদনটি ‘গ’ ক্যাটাগরিতে আছে।
এনআইডি সংশোধন আবেদনে জানা যায়, বর্তমান এনআইডি অনুযায়ী তার নাম আছে বৃষ্টি খাতুন, বাবার নাম সবুজ শেখ। এনআইডি সংশোধনে তিনি নিজের নাম বৃষ্টি খাতুন থেকে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ও পিতার নাম সবুজ শেখ থেকে মো. শাবরুল আলম এবং জন্মসাল ১৯৯৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ২০০০ সালের ২৫ ডিসেম্বর সংশোধন চেয়েছেন। অভিশ্রুতি শাস্ত্রী (বৃষ্টি খাতুন) গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে নিজ নাম, পিতার নাম ও জন্মসাল পরিবর্তন চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনটি বর্তমানে ‘গ’ ক্যাটাগরিতে আছে।
জাতীয় পরিচয়পত্রে এসব তথ্য সংশোধনের জন্য ২০২২ সালের নিবন্ধন করা জন্মসনদ, পিতার এনআইডি, মাতার এনআইডি ও ইউনিয়ন পরিষদের নাগরিকত্ব সনদ দাখিল করেছেন। তবে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী যে জন্মসনদ দিয়ে আবেদন করেছিলেন সেটি ভুয়া ছিল। যার ফলে তার আবেদন কর্যকর হয়নি।
আইএ