• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
বলছে টিআইবি

দেশের ২৪ শতাংশ বাসের ফিটনেস নাই


নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ ৫, ২০২৪, ০১:৫৬ পিএম
দেশের ২৪ শতাংশ বাসের ফিটনেস নাই

ঢাকা : সড়কে বাণিজ্যিকভাবে চলাচলকারী প্রত্যেকটি বাসের জন্য নিবন্ধন ও ৩ ধরণের সনদ থাকা বাধ্যতামূলক। তবে  ৪০.৯ শতাংশ বাস কর্মী ও শ্রমিকরা মনে করেন, সংশ্লিষ্ট কোম্পানির এক বা একাধিক বাসের নিবন্ধনসহ কোন না কোন সনদের ঘাটতি আছে।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে ধানমন্ডির কার্যালয়ে ব্যক্তি মালিকানাধীন বাস পরিবহন ব্যবসায় শুদ্ধাচার শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

সংস্থাটির দাবি, ১৮.৯ শতাংশ বাসের নিবন্ধন, ২৪ শতাংশ বাসের ফিটনেস,  ১৮.৫ শতাংশ বাসের ট্যাক্স টোকেন ও ২২ শতাংশ বাসের রুট পারমিট নেই। টিআইবির গবেষক মুহা: নূরুজ্জামান ফারহাদ, ফারহানা রহমান ও মোহাম্মদ নূরে আলম গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, বাস শ্রমিকরা দৈনিক প্রায় ১১ ঘন্টা কাজ করতে হয়। যাদের মধ্যে ৮২ শতাংশের কোন নিয়োগপত্র নেই, ৬৯.৩  শতাংশের নেই নির্ধারিত মজুরি।

যাত্রী সেবা প্রসঙ্গে সংস্থাটি দাবি করেছে, জরিপে অংশগ্রণকারী ৭৫.৮% যাত্রী, ৪৮.০% শ্রমিক এবং ৫১.৮% মালিক বাসের মাত্রাতিরিক্ত গতিকে দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে।

২২.২% কর্মী/শ্রমিকদের মতে, মদ্যপান বা নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করে চালক গাড়ি চালান এবং কন্ডাক্টর/হেলপার/সুপারভাইজার বাসে দায়িত্ব পালন করেন - সিটি সার্ভিসের ক্ষেত্রে এ হার ৪৫.৯% এবং আন্তঃজেলার ক্ষেত্রে ১৯.২% বলে জানায় সংস্থাটি।

নির্দেশনার যথাযথ প্রয়োগের অভাবে চলন্ত বাসে চালকেরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে, ফলে অনেকসময় প্রাণহানিসহ দুর্ঘটনা ঘটে বলেও জানায় সংস্থাটি।

তবে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান এবং গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের সাথে বিআরটিএ'র প্রকাশিত তথ্যের গরমিল রয়েছে দাবি করেছে সংস্থাটি।

বিআরটিএ'র তথ্যানুযায়ী, ২০২৩ সালে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৫,০২৪ জন এবং যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্যানুযায়ী এ সংখ্যা ৭,৯০২ জন।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!