• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১

২০১০ সালে দস্যুদের কবলে পড়া নাবিকের বর্ণনায় ভয়াবহ তথ্য


নিজস্ব প্রতিবেদক  মার্চ ১৩, ২০২৪, ০৩:০১ পিএম
২০১০ সালে দস্যুদের কবলে পড়া নাবিকের বর্ণনায় ভয়াবহ তথ্য

ঢাকা: ২০০৯ সালের ১১ নভেম্বর। ইন্দোনেশিয়া থেকে সবে মাত্র যাত্রা করেছিল এমভি জাহান মনি। যাত্রা শুরু করে জাহাজটি সিঙ্গাপুর বন্দরে যাত্রাবিরতি করে। গন্তব্যস্থল ছিল গ্রিস। এক মাসেরও বেশি সময়ের এ যাত্রায় ২৫ নাবিক ও প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীসহ মোট ২৬ জন মানুষ সমুদ্রে ছিলেন। ৫ ডিসেম্বর আরব সাগরে ছিনতাই হয় জাহাজটি। প্রায় ১০০ দিন জিম্মি থাকার পর এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন এমভি জাহান মনি জাহাজটি উদ্ধার করা হয়।

২০০৯ সালের ৫ ডিসেম্বর জলদস্যুরা জাহাজটি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সোমালিয়ার দিকে ঘুরিয়ে দেয়। পরে জাহাজটি সোমালিয়ার উপকূলে নোঙর করে। দস্যুদের নিয়ন্ত্রণের আসার দীর্ঘ সময় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পরে যোগাযোগ করাকালে দস্যুদের পক্ষে কথা বলেন লিওন নামের একজন। এ সময় তারা ৯ মিলিয়ন ডলার মুক্তিপণ দাবি করে। ২৪ ডিসেম্বর জাহাজের ক্যাপ্টেন ফরিদ আহমেদ জাহাজের ব্যবস্থাপক মেহেরুল করিমকে ফোন করেন।

তিনি জানান, পরিস্থিতি ভয়াবহ। জাহাজের বিশুদ্ধ খাবার পানি ও জ্বালানি শেষ হয়ে যাচ্ছে। দুই মাস ধরে আলোচনা চলে। চূড়ান্ত মুক্তিপণ নির্ধারণ করা হয় ২২ ফেব্রুয়ারি। ১২ মার্চ এমভি জাহান মনিতে দুটি বিশেষভাবে জলরোধী স্যুটকেস পাঠানো হয়। স্যুটকেস দুটি একশ ডলারের নোটের বান্ডিলে পূর্ণ ছিল। তাদের মুক্তিপণের জন্য ৪.৬২ মিলিয়ন ডলার এবং জ্বালানির খরচ বাবদ ১ লাখ ডলার বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

যদিও এসআর শিপিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও এমভি জাহান মনির মালিক মুক্তিপণ পরিশোধের বিষয়টি অস্বীকার করেন। অবশেষে ১৩ মার্চ ভোরে প্রায় ১০০ দিন জলদস্যুদের আস্তানায় বন্দি থাকার পর জাহাজের নাবিকেরা মুক্তি পায়।

এমএস

Wordbridge School
Link copied!