ঢাকা: সোমালিয়ার গারাকাদ উপকূলে দস্যুদের আস্তানায় নোঙর করা হয়েছে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। সেখানেই ২৩ নাবিককে জিম্মি করে রাখা হয়েছে। তবে তাদের সাহরি ও ইফতারের সুযোগ দিচ্ছে দস্যুরা। যদিও এখনো দস্যুদের পক্ষ থেকে জাহাজের মালিকের কাছে মুক্তিপণ বা অন্য কোনো বিষয়ে যোগাযোগ করা হয়নি বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাহাজটি উপকূল থেকে ৭ নটিক্যাল মাইল দূরে নিয়ে নোঙর করে রাখা হয়েছে। উপকূল থেকে জাহাজে যেতে প্রায় এক ঘণ্টা সময় লাগবে।
কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘জাহাজটি দস্যুদের নিয়ন্ত্রণে সোমালিয়ার উপকূলে নোঙর করা হয়েছে বলে আমরাও জেনেছি। দস্যুদের পক্ষ থেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি। তবে নাবিকরা নিরাপদে আছেন। তাদের মুক্ত করার ব্যাপারে কাজ করছি আমরা।’
এর আগে বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার দুপুরে শিল্প গ্রুপ কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় জাহাজের ইন্টারনেট সংযোগও। ছিনিয়ে নেওয়া হয় নাবিকদের কাছে থাকা মোবাইল, সঙ্গে থাকা ডলার।
জাহাজটি ৫৮ হাজার টন কয়লা নিয়ে ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। নাবিক ও ক্রুসহ জাহাজটিতে ২৩ জন বাংলাদেশি রয়েছেন। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জাহাজটিকে ভারত মহাসাগর থেকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করে জলদস্যুরা। জাহাজটি ওই সময় সোমালিয়া উপকূল থেকে ৪৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থান করছিল।
এমএস