ঢাকা : প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশবাসী তাদের পক্ষে রয়েছে, কাজেই তার সরকারের পতন ঘটানো এবং দেশকে আবার অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া সম্ভব হবে না। তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি-জামায়াত) আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করার স্বপ্ন দেখছে। তারা কীভাবে ভুলে যায় যে আওয়ামী লীগ সব সময় জনগণের পাশে থাকে। যার জন্য জনগণ তাদের বারবার ভোট দেয়।’
শেখ হাসিনা সোমবার (১৮ মার্চ) জাতির পিতার ‘১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪’ উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির ভাষণে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি রমজান মাসে গরিব মানুষের মধ্যে ইফতারি বিতরণ না করে সরকারের সমালোচনা করে। নিজেরা ইফতারি খায় আর আওয়ামী লীগের গিবত গায়। আর কবে আওয়ামী লীগকে উৎখাত করবে সেটাই দেখে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠন এবং এর নির্বাচিত প্রতিনিধিরা ইফতার পার্টি না করে সারা দেশে গরিবদের মধ্যে ইফতারি বিতরণ করছেন। দেশবাসী ও আওয়ামী লীগকে বারবার সমর্থন করেছে। কারণ তারা তাদের প্রয়োজনে আওয়ামী লীগকে সব সময় পাশে পেয়েছে।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘এই রমজান মাসে আমি সবাইকে বলব আপনাদের আশপাশে যারা দরিদ্র সাধারণ মানুষ রয়েছে, তাদের পাশে দাঁড়ান এবং তাদের সহযোগিতা করুন। আমরা যেমন ইফতারি বণ্টন করছি, তাদের সহযোগিতা করছি, আপনাদেরও সেটা করতে হবে।’ খবর বাসসের
তিনি সংযমের এই মাসে বৈশি^ক অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে মূল্যস্ফীতিতে দেশের সাধারণ জনগণের পাশে না দাঁড়ানোয় বিএনপির রাজনীতির সমালোচনা করে বলেন, ‘তারা ইফতার পার্টি করে করুক, কিন্তু আপনারা দেখাবেন যে মানুষের পাশে আছেন। আর এ কারণেই তো মানুষ আমাদের ভোট দেয়। বাংলাদেশের মানুষ যে বারবার আমাদের ভোট দেয় সেটা তো এ কারণেই,’ যোগ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির প্রসঙ্গে বলেন, এখন এই দাবির পেছনে ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে। তিনি বলেন, তারা কোন সাহসে সেটা চায় কারণ, ২০০৮ সালের নির্বাচনে তো তত্ত্বাবধায়ক সরকারই ছিল।
খালেদা জিয়াও সুস্থ ছিলেন, যদিও রাজনীতি করবেন না বলে তারেক রহমান মুচলেকা দিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। তবে হাওয়া ভবনের খাওয়া খেয়ে লন্ডনে তো তখন তারও রমরমা অবস্থা। কিন্তু সে সময়েও তারা আসন পেয়েছিল ৩০টি, অন্যদিকে আওয়ামী লীগ পেয়েছিল ২৩৩টি আসন। এটাও তো তাদের মনে রাখা উচিত। কাজেই কীসের আশায় তারা চায়, বুঝতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে এ দেশের গরিবের পেটে ভাত থাকে, গরিবের মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়।’ তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বাংলায় একটি মানুষও ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না। কাজেই তারা যে চায় সেটা ইলেকশনের জন্য নয়, বাংলাদেশকে আবার অন্ধকার যুগে ঠেলে দেওয়ার জন্য। কাজেই এ দেশকে আর কখনো অন্ধকার যুগে ফেলে দিতে পারবে না।
কারণ, এটা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের দেশ। মুজিব জন্মগ্রহণ করেছেন এ দেশের দুঃখী মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। আর তার আদর্শ ধারণ করেই আমরা সেটা করে যাব ইনশাআল্লাহ।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, দলের সভাপতিম-লীর সদস্য সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য অধ্যাপক মেরিনা জাহান কবিতা আলোচনায় অংশ নেন।
এমটিআই