• ঢাকা
  • বুধবার, ০৬ নভেম্বর, ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১

বাড়াবাড়ি করলে জাহাজ তীরে তুলে দেবে জলদস্যুরা, চাপে নাবিকরা


নিউজ ডেস্ক মার্চ ১৯, ২০২৪, ০৯:৩৯ পিএম
বাড়াবাড়ি করলে জাহাজ তীরে তুলে দেবে জলদস্যুরা, চাপে নাবিকরা

ঢাকা: ভারত মহাসাগর থেকে জিম্মি হওয়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ এবং এর ২৩ নাবিককে বেশ চাপের মুখে রেখেছে সোমালিয়ান জলদস্যুরা। জানা গেছে, জাহাজ এবং নাবিকদের উদ্ধারে জলদস্যুদের ওপর যৌথভাবে অভিযান করতে পারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ভারতীয় নৌবাহিনী। এতে আগের অবস্থান বদলে উপকূলের দেড় নটিক্যাল মাইলের মধ্যে জাহাজ নিয়ে গেছে জলদস্যুরা। 

দুই নৌ-বাহিনীকে অভিযান পরিচালনা থেকে বিরত রাখতে জিম্মি নাবিকদের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে জলদস্যুরা।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যায় দেশের সিনিয়র নাবিক ক্যাপ্টেন আতিক ইউএ খান এক বার্তায় এসব তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে গত রোববার এমভি আবদুল্লাহর অবস্থান ছিল সোমালিয়া উপকূলের গারাকাড এলাকা থেকে উত্তর দিকে ৪৫-৫০ মাইল দূরে। ওই স্থানটি গদবজিরান উপকূল থেকে ৪ মাইল দূরে। 

ক্যাপ্টেন আতিক ইউএ খান জানান, গত দুদিন আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী এমভি আবদুল্লাহকে বেশ চাপের মুখে রেখেছে। যুদ্ধজাহাজগুলো এমভি আবদুল্লাহ’র দেড় মাইলের মধ্যে অবস্থান নিয়েছে। ফলে জলদস্যুরা জাহাজের নোঙর তুলে আরও ভেতরে চলে গিয়ে তীরের মাত্র দেড় মাইল দূরে নোঙর করেছে।

জলদস্যুরা এটাও বলেছে যে, বাড়াবাড়ি করলে জাহাজ তীরে তুলে দেবে। তবে দুই নৌবাহিনী এখনো বিভিন্নভাবে তাদের অবস্থান জানান দিচ্ছে।

ক্যাপ্টেন আতিক জানান, নৌবাহিনীর চাপে নাবিকদের এখন ২৪ ঘণ্টাই জাহাজের ব্রিজে অবস্থান করতে হচ্ছে। এছাড়া মাঝেমধ্যে ভিএইচএফ (ওয়াকি টকি) ব্যবহার করে নৌবাহিনীকে অনুরোধও জানাতে হচ্ছে যেন কাছে না আসে।

জাহাজের অভ্যন্তরীণ অবস্থার কথাও জানিয়ে ক্যাপ্টেন আতিক বলেছেন, ‘জলদস্যুদের অধিকাংশই এখন নিজেদের জন্য স্থানীয় খাবারের ব্যবস্থা করছেন। এতে জাহাজের খাবার হয়তো কদিন বেশি যেতে পারে। অন্যদিকে, জাহাজের নাবিকরাও খাবার বেশি দিন চালিয়ে নেওয়ার জন্য ডিনার করছেন না।’

‘এখন মূলত ইফতার আর সেহেরি তৈরি হচ্ছে সবার জন্য। সচরাচর জাহাজে যেভাবে একাধিক তরকারি তৈরি হয়, সেটা পরিহার করা হচ্ছে.’- ক্যাপ্টেন আতিক।

নাবিকদের অনেকে ত্বকে এলার্জিতে ভুগছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পানি রেশনিং এবং সবসময় ব্রিজে অবস্থান করায় সবার পক্ষে নিয়মিত গোসল এবং কাপড় ধোয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে নাবিকদের কারো কারো ত্বকে এলার্জি দেখা দিয়েছে। এছাড়া ব্রিজে শুধু একটি বাথরুম। যা ২৩ জন নাবিক ছাড়া ২৫-৩০ জন জলদস্যু ব্যবহার করছে। ফলে বাথরুম নিয়মিত পরিষ্কার করা আর ব্যবহার করা খুবই কঠিন হয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন নাবিকরা।’

গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে সোমালীয় জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ।

সূত্র-জাগোনিউজ

আইএ

Wordbridge School
Link copied!