ঢাকা: শিশু মাদকাসক্তসহ সব মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেন, আমরা চাই এই সামাজিক আন্দোলনটা গড়ে তুলতে। এটি না পারলে জায়গাটিতে আমরা বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছি।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মতিঝিলে গেলে এখন বাচ্চা-বাচ্চা শিশুরাও মাদকাসক্ত হতে দেখা যাচ্ছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা যখন ধূমপান বিরোধী আন্দোলন করেছিলাম মাত্র ১ দিনে ধূমপান বন্ধ করতে পারিনি। আমরা আইন করেছি ধূমপানের জন্য, আমরা মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানাও করেছি কিছুদিন। আমরা করতে (বন্ধ) পারিনি। কিন্তু আমরা যখন সামাজিক আন্দোলন করেছি, মিডিয়ায়, স্কুল-কলেজে, হাট-বাজারে, মসজিদ-মাদরাসায়- আমরা যখন বলতে সক্ষম হয়েছি, ধূমপান আসলে বিষ পান, যে-ই ধূমপানে যাচ্ছেন তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন- আমরা এটা বুঝাতে পারাতে সক্ষম হয়েছি। প্রকাশ্যে ধূমপান কিন্তু কমে গিয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা চাই এই সামাজিক আন্দোলনটা গড়ে তুলতে। এটি না পারলে এই জায়গাটিতে আমরা বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছি। আর মাদকের যে সমস্ত হাব, যেমন- ইয়াবা, এলএসডি, হেরোইন; এগুলো যে কতখানি ক্ষতিকর, কতখানি যন্ত্রণাদায়ক...ক্যারি করতে কোনো কিছুরই প্রয়োজন হয় না। আঙ্গুলের ফাঁকেই নিয়ে আসা যায়। কাজেই এগুলোকে ধরা, চেক করা এবং আইডেন্টিফাই করা একটা মুশকিলের বিষয় হয়ে গেছে। তবে আমরা বসে নেই। আমরা সীমান্তে কুকুর রাখছি। বিমানবন্দরে ড্রাগ কিংবা বিস্ফোরক দ্রব্য (ধরতে) কুকুর এপ্লাই করছি। আমাদের যা কিছু আছে সবই অ্যাপ্লাই করছি, যাতে করে সাপ্লাই রাস্তা কমে যায়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা যদি চাহিদা কমাতে না পারি তাহলে এই জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবো না। সেজন্য আপনাদের কাছে আহ্বান থাকবে আপনারাও প্রচার করুন মিডিয়ার মাধ্যমে এটার ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরুন।
আইএ