ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ সফররত ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শিমুল হলে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এছাড়া একটি সমঝোতা নবায়ন হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুর একটার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এলে ভুটানের রাজাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শিমুল হলে একান্ত বৈঠকে বসেন শেখ হাসিনা ও জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক। পরে দুই দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। এছাড়া একটি সমঝোতা নবায়ন হয়।
এর আগে আজ সকাল ১০টার দিকে একটি বিশেষ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান ভুটানের রাজা ও তার সফরসঙ্গীরা। বিমানবন্দরে ভুটানের রাজাকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এ সময় তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ভুটানের রাজা অভিনন্দন মঞ্চে নির্ধারিত স্থানে দাঁড়ানোর পর দুই দেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। পরে রাজা প্যারেড পরিদর্শন করেন।
কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন প্রেজেন্টেশন লাইনে অপেক্ষারত বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলকে পরিচয় করিয়ে দেন। অন্যদিকে ভুটানের রাজা ও তাঁর প্রতিনিধিগণকে পরিচয় করিয়ে দেন।
এ সময় মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, তিন বাহিনী প্রধানগণ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সচিবগণ, পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নবগঠিত সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর এটাই কোনো বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানের প্রথম সফর। এই সফরে ভুটানের রাজা বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানান, ২৫ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত সফরে ভুটানের রাজা আমাদের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
হাছান মাহমুদ জানান, ভুটানের রাজা ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে ভোরে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ, সকালে শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউিট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতাল পরিদর্শন, বিকেলে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বঙ্গভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
মন্ত্রী বলেন, ২৭ মার্চ পদ্মা সেতু এবং নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে স্পেশাল ইকোনমিক জোন পরিদর্শন এবং ২৮ মার্চ কুড়িগ্রামে বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন শেষে বিকেলে সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে রাজা বাংলাদেশ ত্যাগ করবেন। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী রাজাকে বিদায় জানাবেন ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গার্ড অব অনার প্রদান করবেন।
এমএস
আপনার মতামত লিখুন :