• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ঢাকার বার্ন ইনস্টিটিউট দেখলেন ভুটানের রাজা


নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ ২৬, ২০২৪, ০৫:২৩ পিএম
ঢাকার বার্ন ইনস্টিটিউট দেখলেন ভুটানের রাজা

ঢাকা : ঢাকা সফরে এসে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করেছেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চস) কালে বার্ন ইনস্টিটিউটে যান ভুটানের রাজা। হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড তিনি ঘুরে ঘুরে দেখেন।

প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন, ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েনসিল এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন।

রাজা চলে যাওয়ার পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, পরির্দশনে সময় ভুটানের রাজা বাংলাদেশের চিকিৎসকদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। বার্ন ইনস্টিটিউটে ভুটানের একজন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন, তাকে দেখেও রাজা অত্যন্ত খুশি হয়েছেন।

চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে সোমবার ঢাকায় আসেন রাজা ওয়াংচুক এবং এবং রানি জেৎসুন পেমা। সফরের প্রথম দিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে তিনটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। নবায়ন করা হয় পুরানো একটি চুক্তি।

এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারকের আওতায় ভুটানের থিম্পুতে একটি বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট করে দেবে বাংলাদেশ। 

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ যেন ভুটানে একটি ভালো মানের হাসপাতাল তৈরি করে দেয় ভুটানের রাজা সেই বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছেন। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগ সেখানকার চিকিৎসকদেরও প্রশিক্ষণ দেবে।

আমরা মহামান্য রাজার সঙ্গে কথা বলেছি। সোমবার আমরা একটা চুক্তি স্বাক্ষর করেছি যে ভুটানে আমরা একটা বার্ন ইউনিট বানিয়ে দেব। আমরা ভুটানের রাজাকে বলেছি, আমরা তাদের দেশের ডাক্তার নার্সদের প্রশিক্ষণ দেব। এটা শুধু বার্ন না, মেডিসিন, সার্জারি সব সেক্টরেই কাজ করা হবে। ওই হাসপাতাল চালু হওয়ার পরে প্রথম দুই বছর যেন আমরা চালাতে পারি সেভাবেই ডাক্তারদের গড়ে তুলব।

এর আগে সকালে সাড়ে ৯টায় বার্ন  ইনস্টিটিউটে আসেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ। তার সঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি প্রতিনিধিদল ছিলেন।

সে সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লালের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন সায়মা ওয়াজেদ।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক ডা. মো. টিটু মিঞাসহ কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে এবং ভ্যাকসিন প্ল্যান্ট নির্মাণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার কথা জানিয়েছেন সায়মা ওয়াজেদ।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!