ঢাকা: ঈদকে ঘিরে ঘরমুখী মানুষের কাছ থেকে ২০০-৩০০ টাকা বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে বাস কোম্পানিগুলো। শুধু ঢাকা-কুষ্টিয়া নয়, ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলের সব রুটে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
গাবতলী বাস টার্মিনালে বিভিন্ন কাউন্টার ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের অগ্রিম টিকিটে সোহাগ পরিবহন যশোর পর্যন্ত ভাড়া নিচ্ছে ৭৫০ টাকা, যদিও বছরের অন্যান্য সময়ে তারা ভাড়া নেয় ৬৫০ টাকা।
অন্যদিকে শ্যামলী ট্রাভেলস, শ্যামলী এনআর ট্রাভেলস, সাতক্ষীরা লাইন, এসপি পরিবহন, কে লাইনসহ অন্যান্য বাস ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকায় টিকিট বিক্রি করছে।
ঈদের আগের টিকিটের জন্য বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে অভিযোগ করে মৃদুল খান নামের এক যাত্রী বলেন, ‘যশোর রুটে ৫৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৬৫০ টাকায় টিকিট পাই। কিন্তু ঈদের কারণে টিকিটের দাম এখন ৭৫০ থেকে ৯০০ টাকা পর্যন্ত চাইছে বাসগুলো।’
সোহাগ পরিবহনের গাবতলী কাউন্টারের বুকিং সহকারী নয়ন হোসেন বলেন, এখন যারা যাচ্ছে, তাদের জন্য ভাড়া ৬৫০ টাকা। ৩ এপ্রিল থেকে ঈদযাত্রার বাসের টিকিট ৭৫০ টাকা। অন্য সময় কোম্পানি ডিসকাউন্ট দেয়, ঈদের সময় দেয় না।
গাবতলী বাস কাউন্টারের অতিরিক্ত ভাড়া আদায় নিয়ন্ত্রণে বুথ বসিয়েছে বাংলাদেশ বাস ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। বুথের ফিল্ড সুপারভাইজার বাবুল বলেন, অন্য সময়ে বাসমালিকেরা ছাড় দিলেও ঈদের সময় দেন না। কারণ, ঈদে সবাই লাভের মুখ দেখতে চান।
ভাড়া কমাল সরকার
জ্বালানি তেলের দাম ২ টাকা ২৫ পয়সা কমার পরিপ্রেক্ষিতে কিলোমিটারপ্রতি বাসভাড়া ৩ পয়সা কমিয়েছে সরকার। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় বাসভাড়া কমানোর এ সুপারিশ করে বাস ভাড়া পুনর্নির্ধারণী কমিটি। পরে সেই সুপারিশ মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হয়। আজ মঙ্গলবার থেকে নতুন ভাড়া কার্যকর হবে।
গতকাল পর্যন্ত আন্তজেলা ও দূরপাল্লার বাসে সরকার-নির্ধারিত ভাড়া ছিল কিলোমিটারপ্রতি ২ টাকা ১৫ পয়সা। প্রজ্ঞাপনে তা কমিয়ে ২ টাকা ১২ পয়সা করা হয়েছে। একইভাবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে চলাচলকারী বাসের ভাড়া কিলো. প্রতি ২ টাকা ৪৫ পয়সার স্থলে ২ টাকা ৪২ পয়সা করা হয়েছে।
এআর