Menu
ঢাকা: বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় ব্যাংকে ডাকাতি, অস্ত্র লুট ও ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনা যারা ঘটিয়েছে, তাদের বিচার হবে, কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
বৃহস্পতিবার (০৪ এপ্রিল) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।
ব্যাংক ডাকাতির সঙ্গে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে বলে আগেই জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এদিকে ডাকাতির ঘটনার পর বান্দরবানের তিন উপজেলা রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়িতে সোনালী ব্যাংকসহ সব ব্যাংকের কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বান্দরবান সদরের সোনালী ব্যাংক শাখার অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক ওসমান গণি এই তথ্য জানান।
সার্বিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে ওসমান গণি জানান। তিন উপজেলার বিভিন্ন ব্যাংকের গ্রাহক জেলা সদরের সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শাখা থেকে টাকা তুলতে পারবেন বলে সোনালী ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে।
অন্যদিকে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় বান্দরবানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সঙ্গে শান্তি কমিটির শান্তি আলোচনা স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও শান্তি কমিটির আহ্বায়ক ক্য শৈ হ্লা।
বৃহস্পতিবার বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সভা কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি। সম্মেলনে তিনি দীর্ঘদিন ধরে কেএনএফ ও শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সঙ্গে আলোচনা এবং তাদের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেন।
শান্তি কমিটির আহ্বায়ক ক্য শৈ হ্লা লিখিত বক্তব্যে বলেন, সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য ২০২৩ সালের ২৯ মে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে অরুণ সারকী টাউন হলে মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ওই বছরের ৯ জুন স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে ১৮ সদস্য বিশিষ্ট একটি শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি গঠিত হয়। পরবর্তীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি ও কেএনএফ’র মধ্যে কয়েক দফা ভার্চুয়াল মিটিংয়ের পর উভয় পক্ষের মতামতের ভিক্তিতে সরাসরি সংলাপে বসার একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়।
আইএ
© 2025 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সোনালীনিউজ.কম
Powered By: Sonali IT