ঢাকা: ঈদের বাকি দুই থেকে তিন। জীবিকার প্রয়োজনে রাজধানীতে থাকেন— এমন বেশির ভাগ মানুষেরই ছুটি মিলছে আগামীকাল থেকে। তবে কেউ কেউ রাজধানী ছেড়েছেন গতকালই। আজও ঢাকা ছাড়ছেন কয়েক লাখ মানুষ। ফলে রাজধানীর পথ-ঘাট পুরোপুরি ফাঁকা না হলেও ব্যস্ততা কমেছে। শহরজুড়ে অনেকটা কমেছে মানুষের আনাগোনা। তবে কিছুটা গাড়ির চাপ দেখা গেছে ট্র্যাফিক সিগন্যালগুলোতে।
সোমবার (৮ এপ্রিল) সকাল থেকে রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
এ সময় রাজধানীর মিরপুর রোডে গাড়ির চাপ তুলনামূলকভাবে কম দেখা গেছে। তবে মিরপুর রোড থেকে মানিক মিয়া এভিনিউতে প্রবেশ করতে বেশখানিকটা সময় ব্যয় করতে হচ্ছে। গাড়ির চাপের কারণে আসাদগেট আড়ং সিগন্যাল পয়েন্টে সময় ব্যয় হচ্ছে নগরবাসীর।
একই চিত্র ফার্মগেইট এলাকায়। সড়কে অগোছালোভাবে বাস দাঁড় করিয়ে যাত্রী তোলার চিত্র দেখা গেছে এদিনও। ফলে পেছনে চলমান গাড়ির জটলা তৈরি হয়। যদিও এই জটলা খুব একটা স্থায়ী হচ্ছে না। আবার রাস্তার বিপরীত দিকে যানজট নেই। কারওয়ান বাজার থেকে ফার্মগেটমুখী সড়ক চিত্র ভিন্ন রূপ ধারণ করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাসযাত্রী তাওহিদ রবিন বলেন, জ্যাম কমেছে। তবে এখনো কিছুটা আছে। আজও তো অনেক লোক ঢাকার বাইরে যাবে। আগামীকাল থেকে দেখবেন, ঢাকা ফাঁকা।
চলমান গাড়ির কিছুটা চাপ দেখা গেছে সোনারগাঁও সিগন্যালে। চারমুখী রাস্তার এই মোড়ে গাড়ির চাপ থাকায় ট্র্যাফিক পুলিশের ব্যস্ততা এখনো আগের মতোই।
ক্ষণেক্ষণে জট তৈরি হতে দেখা গেছে বাংলামোটর, পান্থপথ সিগন্যালে। তবে তা অন্যান্য কর্মব্যস্ত দিনের তুলনায় অনেক কম।
সড়কে যানবাহনের পাশাপাশি মানুষের সংখ্যাও কমেছে। ফলে যাত্রী কম পাচ্ছেন বলে জানালেন পাঠাও চালক মো. ইসমাইল।
তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে কল খুব কম। যাত্রী নাই। বিকেল হয়ে গেছে। এতক্ষণে তিনটা ট্রিপ হয়েছে।’
এদিকে সড়কে ব্যস্ততা সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে মার্কেট এলাকায়। এর মধ্যে নিউমার্কেট, মৌচাক, মোহাম্মদপুর রিংরোড, মিরপুর-১ নম্বর এলাকায় চলমান গাড়ির চাপ বেশি দেখা গেছে। স্বাভাবিকের তুলনায় কম দেখা গেছে ব্যক্তিগত পরিবহন। তবে আধিক্য দেখা গেছে রিকশার।
এমএস