ঢাকা: দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে পৃথক পৃথক বাণীতে এই শুভেচ্ছা জানান তারা।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘মাসব্যাপী সিয়াম-সাধনা ও সংযম পালনের পর অপার খুশি আর আনন্দের বারতা নিয়ে আমাদের মাঝে সমাগত হয় পবিত্র ঈদুল ফিতর।’
তিনি বলেন, ঈদের এই আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে সবার মাঝে, গ্রামগঞ্জে, সারা বাংলায়, সারা বিশ্বে। এদিন সকলশ্রেণি-পেশার মানুষ এক কাতারে শামিল হন এবং ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করে নেন। ঈদ সবার মধ্যে গড়ে তোলে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি আর ঐক্যের বন্ধন।
মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম। এখানে হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানি, কূপমন্ডূকতার কোনো স্থান নেই। মানবিক মূল্যবোধ, সাম্য ও পারস্পরিক সহাবস্থান এবং পরমতসহিষ্ণুতাসহ বিশ্বজনীন কল্যাণকে ইসলাম ধারণ করে। ইসলামের এই সুমহান বার্তা ও আদর্শ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।
এদিকে ঈদ উপলক্ষ্যে দেশবাসী ও বিশ্বের সকল মুসলমানকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দেওয়া বাণীতে তিনি বলেন, মুসলিম জাহানের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে আমি দেশবাসী ও বিশ্বের সকল মুসলমানকে জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঈদ শান্তি, সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধের অনুপম শিক্ষা দেয়। হিংসা-বিদ্বেষ ও হানাহানি ভুলে মানুষ সাম্য, মৈত্রী ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়। ঈদ ধনী-গরিব নির্বিশেষে সকলের জীবনে আনন্দের বার্তা বয়ে নিয়ে আসে। ঈদের আনন্দ আমাদের সবার।
তিনি বলেন, ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে মুসলমানদের আত্মশুদ্ধি, সংযম, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মেলবন্ধন পরিব্যাপ্তি লাভ করুক— এটাই হোক ঈদ উৎসবের ঐকান্তিক কামনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাসি-খুশি ও ঈদের অনাবিল আনন্দে প্রতিটি মানুষের জীবন পূর্ণতায় ভরে উঠুক। বিশ্বের সকল মানুষের সুখ-শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধির জন্য আজকের দিনে আমি মহান আল্লাহর কাছে এই প্রার্থনা করি।
তিনি বলেন, আসুন, সকল প্রকার অন্যায়, অনাচার, হানাহানি ও কুসংস্কার পরিহার করে আমরা শান্তির ধর্ম ইসলামের চেতনাকে ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনের সকল স্তরে প্রতিষ্ঠা করি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতরের এই দিনে আমি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নিকট আমার প্রাণপ্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও মুসলিম উম্মাহর উত্তরোত্তর উন্নতি ও অব্যাহত শান্তি কামনা করছি।
এমএস