• ঢাকা
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রীর ৬ নির্দেশনা বাস্তবায়ন হলে সড়ক দুর্ঘটনা কমবে


নিজস্ব প্রতিনিধি মে ১১, ২০২৪, ০৩:৫৪ পিএম
প্রধানমন্ত্রীর ৬ নির্দেশনা বাস্তবায়ন হলে সড়ক দুর্ঘটনা কমবে

ফাইল ছবি:

ঢাকা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আমরা চাই দুর্ঘটনা কম হোক, দুর্ঘটনায় আর যেন কেউ মৃত্যুবরণ না করে। পৃথিবীর সব দেশে দুর্ঘটনা ঘটে, মানুষের মৃত্যু হয়। বাংলাদেশে যাতে সড়ক দুর্ঘটনা কমে সেজন্যই কাজ করে যাচ্ছি। 

এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৬ দফা নির্দেশনা বাস্তাবায়ন হলে সড়ক দুর্ঘটনা কমে আসবে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

শনিবার (১১ মে) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর দশম মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, স্বজন হারানোর বেদনা ইলিয়াস ভাই যেমন বুঝেন, আমরাও তেমন বুঝি। সড়কে কেউ হারিয়ে যাক, সেটা আমরা চাই না। কারো অঙ্গহানি হোক, সেটাও আমরা চাই না। আমরা সতর্কতামূলকভাবে ব্যবস্থা নিতে চাই। আমরা একটা আধুনিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চাই। সেজন্য আমরা সহযোগিতা চাই। আপনাদের সম্মেলনে সফল হোক। এ আশাবাদ ব্যক্ত করছি।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষ আহত হচ্ছে, নিহত হচ্ছে। সড়কে খালি হচ্ছে হাজারো মায়ের কোল। এসব সমস্যা সমাধানে সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন। দুর্ঘটনার কারণ চিহ্নিত করে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে বিভিন্ন সময় দাবি করে আসছে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’। এ বিষয়ে সরকার ২২ অক্টোবর নিরাপদ সড়ক দিবস ঘোষণা করে। যা দেশে গুরুত্ব সহকারে পালিত হচ্ছে।

 

মন্ত্রী বলেন, আইনে গাড়িচালক, হেলপার, মালিক এবং বিভিন্ন ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি সবার দায়িত্ব যথাযথভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। যে যেই দায়িত্বে থাকবে তার গাফিলতি হলে কী ধরনের শাস্তি হবে তার সবকিছুই আইনে পরিষ্কার করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, একটি আধুনিক শহরে ২৫ শতাংশ সড়ক থাকতে হয়। আমাদের দেশের কোনো শহরে ২৫ শতাংশ সড়ক নেই। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন ঢাকাকে যানজটমুক্ত করার। সেজন্য তিনি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার চালুর ঘোষণা দেন। এগুলো দৃশ্যমান হয়েছে এবং যানজট অনেকখানি হালকা হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালের জুন মাসে ৬ দফা নির্দেশনা দিয়েছিলেন। আমরা আশা করছি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়ন হলে সড়ক দুর্ঘটনা কমে যাবে।

মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন। এতে বক্তব্য রাখেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। 

উল্লেখ্য, সড়ক পরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ২০১৮ সালে ৬ দফা নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে রয়েছে—

একজন চালকের পাঁচ ঘণ্টার বেশি গাড়ি না চালানো।

ড্রাইভার ও হেলপারদের (চালকের সহকারী) প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। 

লং ডিস্টান্স (দূরপাল্লার) ড্রাইভিংয়ে বিকল্প ড্রাইভারের ব্যবস্থা করা। 

রাস্তার পাশে নির্দিষ্ট দূরত্ব পর পর সার্ভিস সেন্টার বা বিশ্রামাগার নির্মাণ।

রাস্তা পারাপারের ক্ষেত্রে পথচারীদের অনিয়মতান্ত্রিক পারাপার বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। 

গাড়িতে যাত্রী ও চালকের সিটবেল্ট নিশ্চিত করা। 

আইএ

Wordbridge School
Link copied!