ঢাকা: রোহিঙ্গাদের উন্নয়নসহ ১১ টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ হাজার ৩৩৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।
এরমধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৬ হাজার ৫৪১ কোটি ৫২ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ সহায়তা থেকে ৭ হাজার ৮৭৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ৮৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে মঙ্গলবার (২৮ মে) অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব) আব্দুস সালাম এবং পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা সচিব সত্যজিত কর্মকার, কৃষি, পানি ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য (সচিব) আব্দুল বাকী, এবং ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) ড. এমদাদউল্লাহ মিয়ান।
একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে- চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী উপজেলাধীন কর্ণফুলী নদী এবং সংযুক্ত খালসমূহের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন রোধকল্পে তীর সংরক্ষণ কাজ প্রকল্প। দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও আনোয়ারা উপজেলায় টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প। নওগাঁ জেলার মহদেবপুর উপজেলায় ৪৮০০০ মেট্রিকটন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন চালের আধুনিক স্টিল সাইলো নির্মাণ প্রকল্প। রাজশাহী, নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প। টেকনিক্যাল অ্যাসিসটেন্স ফর রিপুওউরপচিং অব এগ্রিকালচারাল পাবলিক সাপোর্ট টুওয়ার্ডস এ সাসটেইনেবল ফুড সিস্টেম ট্রান্সফরমেশন ইন বাংলাদেশ প্রকল্প। বিআইডব্লিউটিসির জন্য ৩৫টি বাণিজ্যিক ও৮টি সহায়ক জলযান সংগ্রহ এবং ২টি স্লিপওয়ে নির্মাণ প্রকল্প। কুমিল্লা-লালমাই-চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর-বেগমগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে বেগমগঞ্জ চৌরাস্তা এবং বেগমগঞ্জ-সোনাইমুড়ী-রামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক চারলেন সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প। হোস্ট অ্যান্ড ফোরসিবিলি ডিসপ্লেসড মিয়ানমার ন্যাশনালস ডিসপ্লেলেসড রোহিঙ্গা পপুলেশন ইনহ্যান্সমেন্ট অব লিভস থ্রো এ মাল্টি-সেক্টরাল এপ্রোচ প্রজেক্ট ইনফ্রাকচার রিলেটেড প্রকল্প। ইনক্লুসিভ সার্ভিসেস অ্যান্ড অপরটুনিটিস ফর হোস্ট কম্যুনিটিজ অ্যান্ড এফডিএমএন পপুলেশন প্রকল্প। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে পানি শোধনাগার ও গভীর নলকূপ স্থাপন প্রকল্প।
একনেক সভায় ঘূর্ণিঝড় রেমাল নিয়ে আলোচনা হয়। পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিত কর্মকার বলেন, রাত ২টা পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি মনিটরিং করেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী ল্যান্ডফোনে নিজেই কথা বলেছেন। আমরা ফোন ব্যবহার করি। কিন্তু ল্যান্ডফোন বিপদে অনেক কাজে লাগে, এ বিষয়ে সচেতন থাকতে বলেছেন। সব সরকারি কর্মকর্তাকে দুর্গতের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ঘূর্ণিঝড়ে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপণ করে দুর্যোগ মন্ত্রণালয়কে রোববারের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ঝড়ে অনেক বাঁধ নষ্ট হয়েছে। এগুলো দ্রুত সংস্কার করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
আইএ