ঢাকা : বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও ব্রিকসে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তিসহ বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে চারদিনের সফরে চীন যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আগামী ৮ থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত হবে প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর। সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে এবং বিনিয়োগ আরও বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। চীনের কম্যুনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগের মন্ত্রী লিউ জিয়ানশাওয়ের সঙ্গে আলোচনায় এই বিষয়গুলো উঠে এসেছে।
প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন চীন সফরে ঢাকা-বেইজিংয়ের মধ্যে কয়েকটি চুক্তি সই হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ, ভারতে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক, চুক্তি ও সমঝোতা সইয়ের পর ২২ জুন দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ভারত সফরে চুক্তি ও সমঝোতার বিষয়গুলো হলো-
১. বাংলাদেশ-ভারত ডিজিটাল পার্টনারশিপ।
২. ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ গ্রিন পার্টনারশিপ।
৩. সমুদ্র সহযোগিতা ও সুনীল অর্থনীতি।
৪. স্বাস্থ্য ও ওষুধসংক্রান্ত পুরোনো সমঝোতা নবায়ন।
৫. ভারতের ইন-স্পেস এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সমঝোতা।
৬. দুই দেশের রেল মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সংযোগ সংক্রান্ত সমঝোতা।
৭. সমুদ্রবিষয়ক গবেষণায় দুই দেশের সমঝোতা।
৮. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও প্রশমনে ভারতের ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি, বাংলাদেশ ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যমান সমঝোতা নবায়ন।
৯. মৎস্য সম্পদের উন্নয়নে বিদ্যমান সমঝোতা নবায়ন।
১০. কৌশলগত ও অপারেশনাল খাতে সামরিক শিক্ষা সহযোগিতায় ডিফেন্স সার্ভিসেস স্টাফ কলেজ, ওয়েলিংটন-ইন্ডিয়া এবং মিরপুর ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের মধ্যে সমঝোতা।
এমটিআই