ঢাকা: কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা দুদিনের কর্মসূচি দিয়ে আজকের মতো শাহবাগ মোড় থেকে সরে গেছেন।
তাদের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, শুক্রবার অনলাইন-অফলাইনে বৈঠক, শনিবার বিকেল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ এবং রোববার সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনসহ অবস্থান ধর্মঘট।
দীর্ঘ সময় সড়ক অবরোধ থাকার কারণে রাজধানীর শাহবাগ ও আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজট দেখা দেয়। আন্দোলনকারীরা রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হওয়া শুরু করে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নিয়ে মিছিলসহ রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কারী হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ১৯৭১ সালে বৈষম্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ হয়েছিল। কিন্তু এই কোটা পদ্ধতির ফলে চাষার ছেলে চাষা, রাজমিস্ত্রির ছেলে রাজমিস্ত্রি, মজুরের ছেলে মজুর থেকে যাবে।
আমরা একই প্রশ্নে পরীক্ষা দেব, একই প্রশ্নে রিটেন লিখব, একই প্রশ্নে ভাইভার মুখোমুখি হব। কিন্তু তারা কোটা সুবিধার কারণে একাই সুবিধা পাবে সেটা মেনে নেওয়া যায় না। তাহলে কি জন্মই আমাদের আজন্ম পাপ?
তিনি বলেন, সরকার কোটা চায় না, প্রশাসন কোটা চায় না, শিক্ষকরা কোটা চাযন না, বিশ্ববিদ্যালয় কোটা চায় না, তাহলে কোটা চায় কে? সরকার যেখানে কোটা পদ্ধতি বাতিল করেছে সেখানে কোন অদৃশ্য শক্তিবলে এই কোটা বহাল করা হয়? আমরা এই অদৃশ্য শক্তির হাত গুঁড়িয়ে দেব।
আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, হাইকোর্ট শিক্ষার্থীদের প্রতি প্রহসন করছে। তারা পুনরায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুক এবং শিক্ষার্থীদের দাবি বিবেচনা করুক। আমরা হাইকোর্টের বিরুদ্ধে না। তারা নিজেদের মতো কাজ করে যাবে কিন্তু আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের দাবি আদায় করে ঘরে ফিরব।
তিনি আরও বলেন, আজ আমরা ফিরে যাচ্ছি কিন্তু আগামীতে আরও বেশি শক্তি সঞ্চয় করে রাজপথে নামব। সারা দেশে শিক্ষার্থীরা নিজেদের দাবি আদায়ে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। আশা করি, আমাদের দাবি আদায়ের আগ পর্যন্ত তারা আমাদের সঙ্গে থাকবে।
এআর