• ঢাকা
  • রবিবার, ০৬ অক্টোবর, ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১

নদীর পানি কমছে, বন্যা পরিস্থিতি ‘উন্নতির’ দিকে


নিজস্ব প্রতিবেদক জুলাই ৮, ২০২৪, ০৭:০০ পিএম
নদীর পানি কমছে, বন্যা পরিস্থিতি ‘উন্নতির’ দিকে

ঢাকা : নদ-নদীর পানি কমে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাওয়ার আভাস দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

সোমবার (৮ জুলাই) কেন্দ্রের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়, সকাল ৯টায় দেশের ১০টি নদীর পানি ২১টি পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে বইছিল।

ওই সময় বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের ১১০টি স্টেশনের মধ্যে ৫৩টি পয়েন্টে পানি বাড়ার প্রবণতা দেখা গেলেও ৫৪ পয়েন্টে কমছিল আর অপরিবর্তিত ছিল তিন পয়েন্টে।

আগের দিন রোববারও ১১০টি স্টেশনের মধ্যে ৫৯টি পয়েন্টে পানি বাড়ে আর কমে আসে ৪৯ পয়েন্টে।

আগামী ৪৮ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম, জামালপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া, টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ জেলার ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।

ব্রহ্মপুত্রের পানি কমছে, আর স্থিতিশীল আছে যমুনা নদীর পানি। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় দুই নদীর পানি ধীর গতিতে কমতে পারে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান বলেন, এ সময়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।

বুলেটিনে বলা হয়, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীর পানি সার্বিকভাবে কমছে, এ পরিস্থিতি আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি কমতে পারে এবং ধরলা ও দুধকুমার নদী সংলগ্ন কুড়িগ্রাম জেলার কিছু নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির ধীর গতিতে উন্নতি হতে পারে।

এসময়ে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের আত্রাই নদীর পানি বাঘাবাড়ী পয়েন্টে স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং উত্তরাঞ্চলের ঘাঘট নদীর পানি গাইবান্ধা পয়েন্টে কমতে পারে। তাতে সিরাজগঞ্জ জেলার আত্রাই নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং গাইবান্ধা জেলার ঘাঘট নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।

তবে গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি বাড়ছে, এ অবস্থা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বাঙ্গালী, আপার করতোয়া, পুর্নভবা, টাঙ্গন, ইছামতি-যমুনা, আত্রাই, মহানন্দা এবং ছোট যমুনা নদীর পানি সময় বিশেষে বাড়তে পারে।

আগামী ৪৮ ঘণ্টায় পদ্মা নদীও গোয়ালন্দ পয়েন্টে বিপৎসীমায় প্রবাহিত হতে পারে।

এবার জুনের শুরুতে প্রবল বর্ষণ আর উজানের ঢলে সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। কয়েক দিন পর পরিস্থিতির উন্নতি হলেও গত ১৭ জুন কোরবানির ঈদের আগের দুদিন থেকে টানা বৃষ্টিতে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণাসহ আশেপাশের জেলার অনেক এলাকা ডুবে যায়। উজানের ঢলে জুলাইয়ের শুরুতে নতুন করে বন্যা দেখা দেয় ওই তিন জেলায়।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, সোমবার (৮ জুলাই) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।

সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬৩ মিলিমিটার বৃষ্টি ঝরেছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া।

এছাড়া চুয়াডাঙ্গায় ২৭, ফরিদপুর ও ভোলায় ২০, শ্রীমঙ্গল ১৯, সিলেটে ১৭ মিলিমিটারসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় কমবেশি বৃষ্টি হয়েছে।

সাধারণত ২৪ ঘণ্টায় ১ থেকে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে হালকা, ১১ থেকে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি, ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি ধরনের ভারি, ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে ভারি এবং ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি রেকর্ড হলে তাকে বলা হয়ে থাকে অতি ভারি বৃষ্টিপাত।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!