ঢাকা : চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, বাংলাদেশকে অনুদান ও ঋণসহায়তা দেবে চীন। চারটি ক্ষেত্রে অনুদান, সুদমুক্ত ঋণ, রেয়াতি ঋণ ও বাণিজ্যিক ঋণ সহায়তা দিয়ে সাহায্য করবে। এ জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে খুব শিগগির চীনের একটি টেকনিক্যাল কমিটি পাঠানো হবে।
বুধবার (১০ জুলাই) বিকেলে বেইজিংয়ের ‘গ্রেট হল অব দ্য পিপলে’ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে শি জিনপিং এ কথা বলেন বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ গণমাধ্যমকর্মীদের জানান।
গতকাল গ্রেট হল অব দ্য পিপলে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হয়। এ সময় বাংলাদেশকে ১ বিলিয়ন বা ১০০ কোটি ইউয়ান অর্থাৎ বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ হাজার ৬১৫ কোটি টাকা (১ ইউয়ান= ১৬.১৫ টাকা) অর্থনৈতিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং।
গতকাল চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, চীনের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তার দেশ বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে এবং ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগ করতে চায়। আগামী বছর বাংলাদেশ ও চীন তাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করবে। এ বিষয়টি মাথায় রেখে শি কৌশলগত ও গভীর সম্পর্ককে দ্বিতীয় পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা ইস্যু উল্লেখ করার আগে শি জিনপিং বলেন, ‘আমি জানি, আপনারা মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছেন। এটি আপনার জন্য একটি চলমান সমস্যা। আমরা এটি সমাধানে আপনাকে সহায়তা করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব।’
চীনের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন। প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু ও কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেলের মতো কিছু আইকনিক অবকাঠামো নির্মাণে বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য চীনের প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান।
প্রধানমন্ত্রী দুটি দেশের মধ্যে বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতার বিষয়টি উত্থাপন করেন এবং ব্যবধান কমাতে চীনের প্রতি আহ্বান জানান। জবাবে চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ থেকে আরও পণ্য আমদানি করব। আমরা বাংলাদেশ থেকে আম আমদানি করব।’
শেখ হাসিনা বাংলাদেশের কৃষি খাতের উন্নয়নে চীনের সহায়তাও চেয়েছেন। চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, একটি দেশের জন্য কৃষিতে স্বাবলম্বী হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি কারিগরি সহায়তা ও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিয়ে বাংলাদেশকে এ খাতে সাহায্য করার আশ্বাস দেন।
এমটিআই