ঢাকা: কোটা সংস্কার আন্দোলন সম্পর্কে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, আমরা মনে করি কোটা সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা আছে। তেমনি অযৌক্তিক কোটাগুলো যৌক্তিক পর্যায়ে আনা দরকার। সে বিষয়ে আমরা কাজ করছি এবং করব। আমাদের সংবিধানে কোটার কথা বলা আছে। অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর অগ্রসরতার জন্য কোটার প্রয়োজন আছে।
শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে মাদারীপুর জেলার শিবচরে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের অধীনে ‘দাদাভাই হাউজিং এস্টেট’ এর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের তো আর কোটার দরকার নেই। তাদের সন্তানেরাও কোটার বাইরে চলে গেছেন। এখন অন্যদের কোটা দেওয়া হবে কি না তা আদালত যেভাবে নির্দেশনা দেবেন, সরকার সেভাবেই কাজ করবে।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলব, আপনারা আরেকটু অপেক্ষা করুন, ধৈর্য ধারণ করুন। এভাবে আপনারা পড়াশোনা নষ্ট করে যেভাবে মাঠে আছেন, আপনাদের প্রতি সিমপ্যাথি থাকলেও আমরা মনে করি আপনারা নিজেদের ক্ষতি করছেন।
‘আপনারা মাঠ থেকে উঠে আসুন, পড়াশোনায় মনোনিবেশ করুন। সেই সঙ্গে আপনাদের দাবির ব্যাপারেও সোচ্চার থাকুন। আমরা আপনাদের অভিভাবক, আমরা আপনাদের প্রতি বিরূপ নই। শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগ জনগণের প্রতি যথেষ্ট সংবেদনশীল, ছাত্রছাত্রীদের প্রতিও সংবেদনশীল। আমাদের সরকার অবশ্যই সব দিকেই বিচার বিশ্লেষণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।’
এর আগে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে উপজেলার ‘দাদা ভাই’ উপশহরে তিনি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে যোগদান করেন। এসময় জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
এসময় শিবচরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ২০২৪ বাস্তবায়নের জন্য কৃষ্ণচূড়া, পেয়ারা, মেহেদী, শিউলি, লটকন, মেহগনি, বড়ই, আম, ফলসা, জাম, হরতকি,বয়রা, অর্জুন, হিজল, ডেউয়া, আমলকী, সোনালু, নিম, বকুল, ছাতিয়ান, কাঠবাদাম, জারুল, চেরি, কাঁঠাল, জলপাই, জামরুল, পলাশ, গাব, জাম্বুরা, দেশী টগর, রাধাচূড়া, নারকেল, রঙ্গন গোলাপি, বোতল ব্রাশ, করবি, আলমন্ডা, মৌসুন্দা গোলাপি, চালতা, চাইনিজ টগর, সিজিমাস, গোল্ডেন সাওয়ার, ল্যাংড়া আম ইত্যাদি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপণ করা হয়।
আইএ