• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৯ ভাদ্র ১৪৩১

কোটা আন্দোলনে সংঘর্ষ, ঢাকা-চট্টগ্রাম-রংপুরে নিহত ৫


নিজস্ব প্রতিবেদক জুলাই ১৬, ২০২৪, ০৮:১০ পিএম
কোটা আন্দোলনে সংঘর্ষ, ঢাকা-চট্টগ্রাম-রংপুরে নিহত ৫

চট্টগ্রাম: চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠেছে গোটা দেশ। শেখ খবর পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলনে ছাত্রলীগ-পুলিশেল সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে চট্টগ্রামে ৩ জন, ঢাকা একজন এবং রংপুরে একজন রয়েছেন।  

চট্টগ্রাম:
চট্টগ্রামে কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হয়েছেন। প্রাথমিক অবস্থায় ২ জন নিহতের খবর পাওয় যায়। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেলে আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ১৫ জনসহ আহত হয়েছেন শতাধিক শিক্ষার্থী।

বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে নগরীর মুরাদপুর এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিকাল ৪টার দিকে আহত কয়েকজনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে তিন জনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। নিহতদের মধ্যে দুজনের বুকে-পিঠে গুলির চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

নিহতরা হলেন- মো. ওমর ফারুক (৩২), ওয়াসিম আকরাম (২৩) ও ফিরোজ আহমেদ (২৪)। এর মধ্যে ফারুক স্থানীয় একটি ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী, ওয়াসিম চট্টগ্রাম কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র এবং কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। ফিরোজের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নুজহাত ইনু সাংবাদিকদের বলেন, ‘আহতদের হাসপাতালে আনা হলে তিন জনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে ওয়াসিমকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। ফারুককে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আনা হয়েছিল। তার বুকে গুলি লেগেছে। ফিরোজের পিঠে গুলির চিহ্ন আছে।’

হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই নুরুল আলম আশিক সাংবাদিকদের বলেন, ‘সংঘর্ষে আহতের হাসপাতালে আনা হলে তিন জনকে মৃত ঘোষণা করেছেন চিকিৎসক। আহত অন্তত ২০ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাদের চিকিৎসা চলছে। এর মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর।’

রংপুর:
এদিকে রংপুরে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় পুলিশ রাবার বুলেট ও কাদাঁনে গ্যাসের সেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক শিক্ষার্থী।

নিহত আবু সাঈদ (২২) রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা আন্দোলন সমন্বয় কমিটির সদস্য ছিলেন। তার পরিচয় নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলাম।

দুপুর দুইটার দিকে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলছিল। দুপুরে সংঘর্ষে আহত হন আবু সাঈদ। পরে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আশিকুল আরেফিন।

ঢাকা:
এছাড়া রাজধানীর ঢাকা কলেজ এলাকায় সংঘর্ষে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবক (২৭) নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে ওই যুবককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন এক পথচারী। পরে বিকেল সোয়া ৫টার দিকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া সাংবাদিকদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, নিউমার্কেট এলাকায় সংঘর্ষে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবক নিহত হয়েছেন। তার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল মর্গে রাখা আছে।

Wordbridge School
Link copied!