ঢাকা : বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এবং তাদের ওপর হামলা, সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আবারও নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সব সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছে দেশটি।
এ বিষয়ে বুধবার (২৪ জুলাই) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে। এছাড়া ঢাকায় অবস্থানরত মার্কিন কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়েও এদিন কথা বলেছেন তিনি।
ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, আমরা চাই বাংলাদেশের জনগণ তাদের মৌলিক স্বাধীনতা প্রয়োগ করতে পারুক।
এ সময় জঙ্গি সংগঠনের নয়জন সাজাপ্রাপ্ত নেতার কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে ওই প্রশ্নকারী মন্তব্য জানতে চাইলে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই মুখপাত্র বলেন, এ বিষয়ে তার কোনও নির্দিষ্ট মন্তব্য নেই।
এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, প্রথমত, আবারও আমরা বাংলাদেশের চলমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের উদ্বেগ স্পষ্ট করেছি। ঢাকায় আমাদের কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সমস্ত বিকল্প অনুসন্ধানের বিষয়েও আমরা জানিয়েছি। আমরা ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসে অ-জরুরি কর্মীদের এবং পরিবারের সদস্যদের স্বেচ্ছায় প্রস্থান করার অনুমতি দিয়েছি। বাংলাদেশে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের কনস্যুলার ও অন্যান্য সেবা প্রদানের জন্য দূতাবাস খোলা রয়েছে। যেকোনও আমেরিকান নাগরিকের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার ব্যাপারে স্পষ্টতই এটি আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার এবং নিজেদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন মার্কিন নাগরিকদের যেকোনও বিষয়ে আলোচনা করতে আমাদের দূতাবাসে যোগাযোগ করতে আমরা উৎসাহিত করছি।
ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস পূর্ণাঙ্গরূপে চালু আছে কিনা; সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে মিলার বলে, দূতাবাস চালু আছে।
মিলার আরও বলেন, আমি গত কয়েকদিনে বলেছি, আমরা বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সব সহিংসতার নিন্দা জানাই। আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করি। যারা তাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার পালন করতে চেয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা সহিংসতার নিন্দা করছি। এবং আমরা যেকোনও প্রতিবাদকারীরও সহিংসতার নিন্দা করি যারা তাদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ-বিক্ষোভের সুযোগকে কেবল সহিংসতার অজুহাতে পরিণত করেছে। আমরা সব ক্ষেত্রেই সহিংসতার নিন্দা জানাই।
ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমরা চাই বাংলাদেশের জনগণ তাদের মৌলিক স্বাধীনতার অধিকার প্রয়োগ করতে সক্ষম হোক। একইসঙ্গে এটি আমরা সারা বিশ্বের মানুষের জন্যই চাই যে – তারা তাদের মৌলিক স্বাধীনতাগুলো পালন করতে সক্ষম হোক। সহিংসতা থেকে বিরত থাকার জন্য আমরা প্রতিবাদকারী, নাগরিক এবং সরকার সবাইকেই অনুরোধ করছি।
এমটিআই