• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
কোটা সংস্কার আন্দোলন

গভীর উদ্বেগ ইইউ’র, অংশীদারত্ব চুক্তির আলোচনা স্থগিত


নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ১, ২০২৪, ১১:১৭ এএম
গভীর উদ্বেগ ইইউ’র, অংশীদারত্ব চুক্তির আলোচনা স্থগিত

ঢাকা : কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বিক্ষোভে ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের’ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক মহাসচিব স্টেফানো সানিনো।

বুধবার (৩১ জুলাই) বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাতে এই উদ্বেগ জানানোর কথা মাইক্রেব্লগিং সাইট এক্স-এ এক পোস্টে বলেছেন তিনি।

স্টেফানো সানিনো বলেছেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি এবং সাম্প্রতিক বিক্ষোভে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ পুনর্ব্যক্ত করেছি।

জবাবদিহি ও বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছি আমি। ইইউ-বাংলাদেশ সম্পর্কের একটি মৌলিক উপাদান হচ্ছে মানবাধিকার।

এদিকে, সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহের কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে নতুন একটি সহযোগিতা চুক্তির আলোচনা পেছানোর কথা জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

ইইউ’র পররাষ্ট্র বিষয় মুখপাত্র নাবিলা মাসরালিকে উদ্ধৃত করে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘চলমান পরিস্থিতিতে’ সেপ্টেম্বরে নির্ধারিত অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা চুক্তির প্রথম দফার আলোচনা স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী কোনো তারিখ নির্ধারিত হয়নি।

তবে, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের কারণে ১০ সেপ্টেম্বর শুরু হতে যাওয়া আলোচনা পর্ব নভেম্বরে পেছানো হয়েছে।

ইআরডির অতিরিক্ত সচিব উত্তম কুমার কর্মকার রয়টার্সকে বলেন, আলোচনা পেছানো হয়েছে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের জন্য এবং সাম্প্রতিক সহিংসতার আগেই সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

সম্পর্কের পরবর্তী গতি-প্রকৃতি নির্ধারণ করার জন্য ওই চুক্তি করার বিষয়ে সম্মত হয়েছিল ইইউ ও বাংলাদেশ সরকার।

ঢাকায় ইইউ’র বিদায়ী রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি জানুয়ারিতে বলেছিলেন, আমি মনে করি, পরবর্তী পাঁচ বছরে আমাদের সম্পর্কের ধাপ পরিবর্তন হতে দেখব আমরা, যেটি চালিত হবে নতুন অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা চুক্তির আলোকে।

এবারের অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা চুক্তিকে ২০০১ সালে হওয়া চুক্তির তুলনায় প্রকৃতিগতভাবে আরও বেশি রাজনৈতিক’ হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেছিলেন, “আগেরটি মূলত ছিল উন্নয়ন সহযোগিতার।

যা বলেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্টেফানো সানিনোকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ইইউ বাংলাদেশের সাথে রয়েছে, সংকট উত্তরণেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহযোগিতা করবে।

সেখানে বলা হয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০১৮ সালে সরকারের কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত, সাম্প্রতিক সময়ে রিট ও শেষে সর্বোচ্চ আদালতের রায়সহ সামগ্রিক ঘটনাপ্রবাহ সবিস্তারে তুলে ধরেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, দুর্বৃত্তরা অসৎ উদ্দেশ্যে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ব্যবহার করে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করেছে, ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছে, যা অনেক ক্ষেত্রে মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। যারা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িত, তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা হবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, সেক্রেটারি জেনারেল স্টেফানো সানিনো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে হতাহত ও হামলার ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, আমি আশা করি, স্বচ্ছ তদন্তের মাধ্যমে দোষী ব্যাক্তিদের বিচারের আওতায় আনা হবে ও দ্রুত বাংলাদেশ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকে বলেন, সরকার এ বিষয়ে অত্যন্ত দায়িত্বশীল এবং আন্তরিক।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!