ঢাকা : বাংলাদেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা এবং স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) থেকে খুলেছে।
সোমবার (৫ আগস্ট) রাতে এক বার্তায় এ তথ্য জানায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
আইএসপিআর জানায়, সোমবার রাত ১২টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ থাকবে। মঙ্গলবার সকাল থেকে বাংলাদেশের সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে গড়ে ওঠা প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগের দ্বিতীয় দিনে ছাত্র-জনতা ঢাকার রাজপথ দখলে নিলে পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর বিকালে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে বলে ঘোষণা দেন। এরপর রাতে অফিস চালু ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা জানায় আইএসপিআর।
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের এক পর্যায়ে দেশজুড়ে সংঘর্ষ ও সংঘাতের ঘটনা ঘটে। এর প্রেক্ষিতে ১৭ জুলাই থেকে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছিল।
পরে সংঘাত আরও বাড়লে ১৯ জুলাই মধ্যরাত থেকে জারি করা হয় কারফিউ। মাঝে পরিস্থিতির উন্নতি হলে কারফিউ শিথিল করে অফিস-আদালত চালু করা হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হয়নি।
কারফিউ থাকার মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন কর্মসূচিকে ঘিরে সংঘাতময় পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে রোববার থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত কারফিউ শিথিলের সময় তুলে নিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য আবার কারফিউ জারি করা হয়। তিন দিনের জন্য আবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।
এমটিআই