ঢাকা: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ কতদিন হবে তা নিয়ে এখনই আলোচনা করা বা সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। কারণ আপনি কি সংস্কার চান? সেটা না বুঝে মেয়াদের কথা বলতে পারব না। আর আপনারা যদি সংস্কার না চান, তখন আরেক কথা। কাজেই এখনই মেয়াদ-মেয়াদ করে অস্থির হওয়ার কিছু নেই।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি আরও জানান, আমরা সবাই যাতে একটি গণতান্ত্রিক দেশের যাত্রা শুরু করতে পারি, তার প্রস্তুতির জন্য এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সেই প্রস্তুতির জন্য যে সময় দরকার, সেটাই আমরা নেব। শেষ পর্যন্ত আমরা গণতন্ত্রের দিকে যাব।
উপদেষ্টাদের প্রথম সভায় সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের উজ্জীবিত করা, যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া, বাজার নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
তিনি আরও বলেন, বৈঠকে অর্থের বিষয়ে কথা হয়েছে। আর্থিক খাতগুলো শুধু চালু করলেই হবে না, সক্রিয় করতে হবে। সেখানে নেতৃত্বের স্থানে পরিবর্তন আনার প্রয়োজন যেগুলোতে আছে, অনতিবিলম্বে সেসব পরিবর্তন আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
রেজওয়ানা হাসান বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সিস্টেম পরিবর্তন করার জন্য তারা (শিক্ষার্থীরা) আন্দোলন করেছেন। সুতরাং দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে, আজকে আমাদের বেশিরভাগ আলোচনা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে।
তিনি আরও বলেন, ক্ষমতা একটা গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে পড়লে অসুবিধা হয় না। কিন্তু সরকার অগণতান্ত্রিক হলে তখন আইনের অপ্রয়োগ হয়। তাই সাইবার নিরাপত্তা আইনের যে বিধানগুলো অপপ্রয়োগ করা যাচ্ছে, সেগুলো চিহ্নিত করে বাতিল করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন জায়গায় ডাকাতির বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে এ উপদেষ্টা বলেন, বৈঠকে আইজিপিকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল তার কাছে কী তথ্য আছে? তাছাড়া পুলিশের অনেকগুলো থানাও সচল নয়। ফলে তার কাছে সব তথ্য থাকবে সেটাও আমরা মনে করি না। তাই আলোচনা হয়েছে যত দ্রুত সম্ভব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কাজে নামানো, বিশেষ করে পুলিশ সদস্যদের।
আইএ