ঢাকা : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদের বাড়িতে পৌঁছেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শনিবার (১০ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে রংপুরে আবু সাঈদের বাড়িতে পৌঁছেন তিনি।
সেখানে পৌঁছে ড. ইউনূস আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করেন। এরপর আবু সাঈদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে ছিলেন আরও দুই উপদেষ্টা।
তারা হলেন–ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়া নাহিদ ইসলাম এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়া আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তারা দুইজন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক।
গত ১৬ জুলাই রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান পুলিশ সদস্যরা। সংঘর্ষ যখন তুঙ্গে, তখন আবু সাঈদ দুহাত দুদিকে প্রসারিত করে দাঁড়িয়ে গেলেন রাস্তায়। এক হাতে তার ধরা ছিল লাঠি। তার আহ্বান যেন বলছিল, গুলি চালালে আমার বুকে চালান, আমার বন্ধুদের বুকে নয়! তার হয়তো বিশ্বাস ছিল, এই আহ্বানে শান্ত হয়ে আসবে পরিবেশ। কেউ গুলি চালাবে না। কিন্তু, তা হলো না। বুলেট তেড়ে এসে বিঁধে গেল আবু সাঈদের বুকে। এরপরও দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। তারপর আবারও গুলি। পরে রাস্তার ডিভাইডার পার হলেন। শান্ত, নির্মল চেহারার সাঈদ বসে পড়েন সেখানেই। তারপর ঢলে পড়েন রাস্তায়। পরে জানা যায়, তিনি মারা গেছেন। তারপর থেকেই শহীদের খেতাব ও আইকনিক ছবি হয়ে ওঠেন আবু সাঈদ।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন সেই আবু সাঈদ। সেই সাঈদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে শনিবার (১০ আগস্ট) রংপুরে গেলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার সঙ্গে উপদেষ্টা পরিষদে থাকা দুজন ছাত্র প্রতিনিধি।
এমটিআই