ঢাকা: বাতিল হচ্ছে ১৫ আগস্টের জাতীয় শোক দিবসের সরকারি ছুটি। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সচিবালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বিকেলে মধ্যেই এবিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানা গেছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, ১৫ আগস্টের সাধারণ ছুটি বাতিলের প্রজ্ঞাপন তারা প্রস্তুত রেখেছেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা পেলে মঙ্গলবারই (১৩ আগস্ট) প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে। কোনো কারণে প্রজ্ঞাপন জারি না হলে আগামীকাল হবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে ১৫ই অগাস্ট জাতীয় শোক দিবস ও সরকারি ছুটি বাতিলের পরামর্শ দিয়েছে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।
উল্লেখ্য, ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের নিজ বাসায় সেনাবাহিনীর কতিপয় বিপথগামী সেনাসদস্যের হাতে সপরিবারে নিহত হন।
সেদিন তিনি ছাড়াও নিহত হন তার স্ত্রী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব। এ ছাড়াও তাদের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজনসহ নিহত হন আরো ১৬ জন।
১৯৯৬ সালে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছিল তখন দিনটিকে জাতীয় শোক দিবস হিসাবে পালন করা হয়েছিল। বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট ক্ষমতায় এসে ২০০২ সালে জাতীয় শোক দিবস পালনের সিদ্ধান্ত বাতিল করে। ছয় বছর পর হাইকোর্টের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সালে ১৫ অগাস্টকে জাতীয় শোক দিবস হিসাবে পুর্নবহাল করে।
এরপর থেকে সদ্য বিদায়ী শেখ হাসিনা সরকার ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করে আসছিল। তবে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। এরপর ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে গঠন হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বর্ষপঞ্জি হিসেবে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের ছুটি।
তবে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও পালিয়ে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবার ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন করবে কি-না এবং এই ছুটি বহাল থাকবে কি-না; এই নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।
১৫ আগস্ট নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন মঙ্গলবার বলেন, এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এটা এখনই আমি বলতে পারব না। আজকে আমরা বিকেলে বসব, সেখানে আলোচনা হবে। যেটাই হয় আমরা নির্ধারণ করব।
আইএ